২১ অক্টোবর, ২০২০ ১৯:০২

পাকিস্তানে এক আইজি অপহরণে তোলপাড়, গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি করাচিতে

অনলাইন ডেস্ক

পাকিস্তানে এক আইজি অপহরণে তোলপাড়, গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি করাচিতে

নওয়াজ শরীফের মেয়ে জামাই সফদর ও পিটিআই নেতা আলী জাইদি (ডানে)

পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের পুলিশ প্রধান ইনস্পেক্টর জেনারেল (আইজি)-কে কি অপহরণ করেছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী? আনন্দবাজার পত্রিকা একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাতে জানিয়েছে, দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট নওয়াজ শরীফের মেয়ে জামাই মুহম্মদ সফদরকে গ্রেফতারের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে জল্পনা চরমে উঠেছে। এমনকি সেনা ও পুলিশের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের খবরও প্রকাশিত হয়েছে। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সেনা প্রধান কামার বাজওয়া। 

তবে পাকিস্তানের পিটিআই নেতা ও মন্ত্রী আলী জাইদি এখবর অস্বীকার করেছেন। এদিকে একাধিক মিডিয়া দাবি করছে, এ ঘটনার প্রতিবাদে গণছুটিতে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন আইজি মুস্তাক মেহর-সহ সিন্ধের পদস্থ পুলিশকর্তারা। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রশাসনের বিরুদ্ধে সিন্ধ প্রদেশে সম্প্রতি একটি মিছিল করে বিরোধীরা। তার নেতৃত্বে ছিলেন নওয়াজ শরীফের জামাই সফদর। সেখানে কার্যত সেনার বিরুদ্ধেও স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। সেই অভিযোগে ওই মিছিলের পরেই সফদরকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিনই অবশ্য আদালতে জামিনও পেয়ে যান সফদর। 

বলা হয়েছে, সফদরকে গ্রেফতার করতে রাজি ছিল না সিন্ধ পুলিশ। কিন্তু পাকিস্তান রেঞ্জার্স তাকে গ্রেফতারের জন্য আইজির উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। গ্রেফতারির নির্দেশে সই করার জন্য তার উপর নানাভাবে চাপ তৈরি করা হয়। তারপরেও মেহর রাজি না হওয়ায় তাকে অপহরণ করে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ রাজি না হওয়ায় সফদরকেও রেঞ্জার্সই গ্রেফতার করে বলে পুলিশের একটি সূত্রে দাবি।

আন্তর্জাতিক একটি সংবাদ মাধ্যমের খবর, সিন্ধের ঘটনার জেরে করাচিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। সেনার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। তাতে করাচিতে ১০ পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলেও খবর। যদিও এ নিয়ে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমে এই ধরনের কোনও খবর প্রকাশিত হয়নি। মুখ খোলেননি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কেউ। আন্তর্জাতিক ওই সংবাদমাধ্যমও অসমর্থিত সূত্রে খবর বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।

একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে মেহর বলেছেন, তিনি নিজে এবং পদস্থ পুলিশকর্তারা গণছুটিতে যাওয়ার কথা ভাবছিলেন। কিন্তু তার মধ্যেই সেনা প্রধান কামার বাজওয়া ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় সিদ্ধান্ত থেকে কিছুটা পিছিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, আপাতত ১০ দিনের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছি অফিসারদের। প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষকে তদন্তের জন্য এই সময় দিতে চাই। তবে কে বা কারা তাকে অপহরণ করে রেঞ্জার্সের অফিসে নিয়ে গিয়েছিল, সে বিষয়ে তিনি মুখ খুলতে চাননি।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর