২৯ নভেম্বর, ২০২০ ১৮:২৩

আরও জোরালো হচ্ছে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার দাবি

অনলাইন ডেস্ক

আরও জোরালো হচ্ছে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার দাবি

যুক্তরাজ্যের বর্তমান ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিভিন্ন নীতির কারণে আরও জোরালো হচ্ছে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার দাবি। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, জনসনের নেতৃত্বই স্কটিশ ভোটারদের আরও স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতার দাবির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। খবর ফরেন পলিসি।

প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর ইউনিয়ন সুরক্ষায় চারটি পৃথক উদ্যোগ গ্রহণ করেন বরিস জনসন। এর উদ্দেশ্য ছিল স্কটিশ জাতীয়তাবাদকে ঠেকানো। 

গত সেপ্টেম্বরে পরিচালিত জেএল পার্টনার্স পরিচালিত এক জরিপের বরাতে পলিটিকো ইউরোপ জানায়, যুক্তরাজ্যের সামনে সবচেয়ে বড় হুমকি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং নিজে। চলতি মাসে হাউজ অব কমনসে লেবার পার্টির নেতা স্যার কেইর স্টার্মার বলেন, যতবার ইউনিয়ন নিয়ে মুখ খোলেন ততবার তিনি তিন শতাব্দীর এ ইউনিয়নকে ঝুঁকিতে ফেলেন।

স্টার্মারের এ উক্তির সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে স্কটল্যান্ডে। স্কটিশদের মধ্যে নতুন করে স্বাধীনতার দাবি মাথাচাড়া দিয়েছে। নতুন এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে ৫১ থেকে ৫৯ শতাংশ স্কটিশই এখন স্বাধীন স্কটল্যান্ড দেখতে চান। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত এক গণভোটে অবশ্য ৫৫-৪৫ শতাংশ ভোটে স্বাধীনতার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন স্কটিশরা।

সর্বশেষ ১৪টি জরিপের ফল বলছে, বেশির ভাগ স্কটিশের মনোভাবে পরিবর্তন এসেছে। কারণ, এর আগে কখনো এত বেশি মানুষ স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা চাননি। স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজিওনের বক্তব্যেও উঠে এসেছে বিষয়টি। শনিবার তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, এর আগে কখনো স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার বিষয়ে এত বেশি নিশ্চিত তিনি ছিলেন না।

এ সুযোগে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতাপন্থী স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নিকোলা স্টারজিওন আবারও গণভোটের পক্ষে অবস্থান নেন। আগামী বছর পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে গণভোট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন স্টারজিওন। তিনি বলেন, স্বাধীনতা হচ্ছে আমাদের সুস্পষ্ট লক্ষ্য। এর আগে আমি কখনো স্বাধীনতার বিষয়ে এত বেশি নিশ্চিত ছিলাম না।

যদিও শেষ পর্যন্ত আরেকটি গণভোট হয় এবং স্কটল্যান্ড ব্রিটেন থেকে স্বাধীন হয়ে যায় তবে ১০০ বছর আগে আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতার পর ব্রিটেনের জন্য আরেকটি বড় আঘাত। আর এ আঘাতটি হবে ব্রেক্সিটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে। এক সময় স্কটল্যান্ড স্বাধীন দেশ ছিল। ১৬০৩ সালে স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের রাজবংশ রাজা প্রথম জ্যামসের (শাসনকাল ১৬০৩-১৬২৫) নেতৃত্ব একত্রিত হয়। অ্যাক্ট অব ইউনিয়নের মাধ্যমে ১৭০৭ সালে দেশ দুটির আইনসভাও একীভূত করা হয়।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর