পাকিস্তানের পেশওয়ারে ৮ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় মসজিদের এক ইমামকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করা হয়। গত শনিবার (১৪ মার্চ) দেশটির শিশু সুরক্ষা আদালতের বিচার ওয়াদিয়া মুসতাক মালিক এই দণ্ডাদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পেশওয়ারের স্থানীয় একটি মসজিদের পেশ ইমাম ক্বারী সাঈদ দুই বছর আগে ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ আট বছর বয়সী ওই এক শিশুকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন।
দীর্ঘ তদন্ত ও শুনানি শেষে রবিবার আদালতের বিচারক পাকিস্তানি দণ্ডবিধির ৩৭৬(৩) ধারায় ক্বারী সাঈদকে দোষী সাব্যস্ত করেন। আদালত থেকে জানানো হয়েছে, ধর্ষণের ফলে নাবালিকা মানসিক ও শারীরিকভাবে সমস্যায় পড়েছে। দীর্ঘজীবন তাকে এই সমস্যা পোহাতে হবে। এজন্য ধর্ষক ওই নাবালিকাকে এক লাখ রুপি অবশ্যই দিতে বাধ্য থাকবেন।
বিচারক বলেছেন, নাবালিকার বয়স মাত্র আট বছর থাকা অবস্থায় তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সাজা কমানোর কোনো রাস্তা দেখা যায়নি। বরং এর চেয়ে কঠিন শাস্তির পথ আছে।
জানা যায়, ওই ইমাম তাবিজ দেওয়ার কথা বলে মসজিদের একটি ঘরে শিশুটিকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। যদিও নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন কারি সাঈদ। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেননি। সূত্র: ডন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর