লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ এবং ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক হামাসের রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মোকাবেলার লক্ষ্য নিয়ে ইসরায়েল তাদের কথিত আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করেছে।
হিজবুল্লাহ এবং হামাসের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি অনেক বেড়েছে এবং ভবিষ্যৎ যুদ্ধে হিজবুল্লাহ প্রতিদিন ২০০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তে সক্ষম বলে খবর বের হওয়ার পর ইসরায়েলের আয়রন ডোম উন্নত করার তথ্য প্রকাশ হলো।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের যুদ্ধ মন্ত্রণালয় অর্থ বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মোশে প্যাটেল বলেছেন, আয়রন ডোম উন্নত করার পর কয়েক দফা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছে। খুব শিগগিরই নতুন ভার্সনের আয়রন ডোম ইসরায়েলের বিমান ও নৌবাহিনীতে সংযুক্ত করা হবে বলে তিনি জানান।
এই ব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট প্রতিহত করতে পারে বলে জানিয়েছেন মোশে প্যাটেল। বহুল প্রচারিত আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা স্বল্প পাল্লার রকেট, কামানের গোলা, মর্টার ও ক্ষেপণাস্ত্র শণাক্ত এবং প্রতিহত করার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করা হলেও এটি তেমন কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নয়-তা প্রমাণিত হয়েছে।
২০১৯ সালে ইহুদিবাদী ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালালে হামাস এবং ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের যোদ্ধারা ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে দুই দিনে অন্তত ৭০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। সে সময় ইসরায়েল তার অতি মূল্যবান আয়রন ড্রোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে মাত্র ২৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করে। ওই সময় ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকরিতা একদম পরিষ্কার হয়ে যায়। হামাস ও জিহাদ আন্দোলনের ওই হামলায় অন্তত চার ইসরায়েলি নিহত এবং ৮০ জন আহত হয়েছিল।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন