সাবেক জাপানি যোগাযোগ মন্ত্রী সানা তাকাইচির নেতৃত্বে চীনা মঙ্গোলিয়ানদের সমর্থনে বুধবার (২১ এপ্রিল) একটি সংসদীয় জোট গঠন করেছেন জাপানি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
বর্তমানে জাপানে বসবাসরত জাতিগত মঙ্গোলিয়ান তেমুরলুন বলছেন, 'চীনের উত্তরাঞ্চলের অভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়া অঞ্চলের মঙ্গোলিয়ানদের জন্য এই পদক্ষেপ বড় ধরনের এক আশার বাণী তৈরি করবে।'
জাপানভিত্তিক মঙ্গোলিয়ান খুবিসের মতে, স্বাধীন দেশ মঙ্গোলিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মঙ্গোলীয় সংস্কৃতি রক্ষার্থে জাপানি আইনপ্রণেতাদের কাছে পরামর্শও রেখেছিলেন। শি হাইমিং এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, 'জাপানি আইনপ্রণেতারা চীন সরকার কর্তৃক মানবাধিকারের অত্যাচার ও অপব্যবহারকে অনেক বেশি গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে। ২০২০ সালের আগস্ট থেকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি মঙ্গোলিয়ান স্কুলগুলোতে শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ করে দেয় যা পরবর্তীতে তীব্র প্রতিবাদের কারণ হয়।'
এছাড়াও জাপানের শিজুওকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়াং হাইয়িং বলেছেন, 'অভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়ানদের প্রতি জাপানের বিশেষ মায়া রয়েছে, কারণ এই অঞ্চলের কিছু অংশ জাপানি উপনিবেশে ব্যবহৃত হতো।'
এদিকে, ২০২০ সালের ডিসেম্বর চীনা ভাষা শেখার ক্যাম্পেইনে মঙ্গোলিয়ান প্রাপ্তবয়স্কদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়। পিপলস ডেইলির মার্চে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে মঙ্গোলীয়দের ওপর চাপিয়ে দেওয়া শিক্ষার এ বিষয়টি অসাংবিধানিক। এর রায়ে সংবিধানের ৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সব জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব কথ্য ও লিখিত ভাষা ব্যবহার ও বিকাশ করার এবং নিজস্ব লোকজ ও রীতিনীতি সংরক্ষণ বা সংস্কার করার স্বাধীনতা এবং অধিকার রয়েছে।
এরই মধ্যে আঞ্চলিক সরকার মঙ্গোলীয় ইতিহাসের পাঠ্যপুস্তককে শ্রেণিকক্ষ থেকে নিষিদ্ধ করেছে। অভিভাবকরা বলছেন, বর্তমানে স্কুলে মঙ্গোলীয় সংস্কৃতির কোনো উল্লেখ করার অনুমতি নেই, এমনকি মঙ্গোলিয়ান ভাষার স্কুলেও মঙ্গোলিয়ান ভাষার চেয়ে মান্দারিন ভাষাতে শেখানো হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির