১৭ জুন, ২০২১ ০৯:২২

তিব্বত নিয়ে চীনের নতুন কৌশল, পাঠাচ্ছে লাখ লাখ পর্যটক!

অনলাইন ডেস্ক

তিব্বত নিয়ে চীনের নতুন কৌশল, পাঠাচ্ছে লাখ লাখ পর্যটক!

বদলে যাচ্ছে তিব্বতিদের জীবনযাত্রার ধরন। চীন অধ্যুষিত তিব্বত রাজনৈতিকভাবে একটি অস্থিতিশীল অঞ্চল হলেও সেখানে পর্যটন শিল্পকে প্রাধান্য দিচ্ছে চীনা সরকার। এতে ওই এলাকার বাড়িঘর গুলোকে হোটেলে রূপান্তর করছে স্থানীয়রা। ফলে বদলে যাচ্ছে তিব্বতের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা।

তিব্বতের স্থানীয়দের একজন বাইমা। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবার আমাদের বাড়িটি হোটেলে রূপান্তর করেছে। আগে আমরা কৃষি কাজ করেই জীবিকা বির্বাহ করতাম। কিন্তু এখন পরিবর্তন এসেছে। সরকার আমাদের হোটেল ব্যবসা খুলতে সাহস দিচ্ছে। এখন অনেকেই হোটেল থেকে অর্থ আয় করছে। যার কারণে এখানকার মানুষের দৈনন্দিন জীবনেও এসেছে পরিবর্তন।’

পর্বত পরিবেষ্টিত তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে ভারত সীমান্ত ঘেষা তাশিগ্যাং গ্রামে হোটেল ব্যবসার বড় উত্থান লক্ষ্য করা গেছে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা পর্যটকদের সুবিধার্থে তিব্বতিয়ান ভাষা ছেড়ে মান্ডারিন ভাষার প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। যাতে করে তারা সহজেই পর্যটকদের সঙ্গে কথপোকথন করতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, তিব্বতে পর্যটন খাত উন্নতি আপাত দৃষ্টিতে ইতিবাচক হলেও মূলত এর প্রভাব নেতিবাচক। চীনা আগ্রাসনের ফলে তিব্বতের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষিভিত্তিক জনগোষ্ঠী হোটেল ও পর্যটনভিত্তিক হচ্ছে। তাছাড়া মান্ডারিন ভাষা প্রাধান্য পাওয়ায় প্রাচীন তিব্বতিয়ান ভাষা হুমকির মুখে পড়েছে। তিব্বতের প্রশাসনিক দিকটিও ক্ষতির মুখে। কারণ চীনা সরকার উন্নয়নের নামে এসব কর্মকাণ্ডের আড়ালে নিজেদের ভিত আরও শক্ত করছে।

গত বছর তিব্বতে ৫০ লাখ পর্যটক গিয়েছে। যা সেখানকার স্থানীয় জনগণের তুলনায় ১০ গুণ বেশি। এই ঘটনা তিব্ববতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির জন্য বিপজ্জনক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সূত্র: গাল্ফ নিউজ, সিএনএ, সিজিটিএন

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর