তালেবান সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে আফগানিস্তানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করা পাকিস্তানের প্রধান উদ্দেশ্য বলে মন্তব্য করেছে ইউরোপিয়ান ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ। সংস্থাটি বলেছে, দেশটির নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন ব্যতীত সন্ত্রাসবাদী দলটি ক্ষমতায় বসতে পারবে না।
ন্যাটো ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) দ্বারা প্রকাশিত ‘আঞ্চলিক শক্তি ও ন্যাটো-পরবর্তী আফগানিস্তান’ শীর্ষক এক একাডেমিক গবেষণার বরাতে সংস্থাটি বলেছে, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র/ন্যাটোর সেনা প্রত্যাহারের পরে দেশটিতে নতুন সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। আর এটি আঞ্চলিক প্রক্সি যুদ্ধের নতুন ক্ষেত্র হতে পারে। ইতোমধ্যে আঞ্চলিক শক্তিগুলো স্থানীয় পাওয়ার-ব্রোকার এবং জঙ্গি দলগুলোকে সমর্থন করে সেখানে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রধান লক্ষ্য আফগানিস্তানে তালেবান সদস্যদের নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করা। যদিও তালেবানদের শাসনের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ। কারণ দেশটি মনে করে তালেবানের শাসন তাদের জাতীয় স্বার্থের পক্ষে সহায়ক নয়।
এনডিসি কর্তৃক প্রকাশিত ওই গবেষণার পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, কাশ্মীর ও আফগানিস্তানে ভারতের সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব ঠেকাতে পাকিস্তান অনেক আগে থেকেই জঙ্গিদের ব্যবহার করে। মূলত দেশটি প্রক্সি হিসেবে জঙ্গিদের ব্যবহার করে থাকে।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাইকেল ব্লেক গত ২১ জুলাই তার এক নিবন্ধে বলেন, সেনা প্রত্যাহারের পরে আফগানিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই দায় নিতে হবে। সমানভাবে দায়ও ন্যাটোর ওপরে পড়বে। সূত্র: এএনআই
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর