২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে এখনো বিশ্বাস করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন এমন ইঙ্গিতও বহুবার দিয়েছেন। আফগানিস্তানে ২০ বছরের ‘যুদ্ধ’ শেষ করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যেমন নাকাল হয়েছে তার সমালোচনা করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে থাকলে এমন বিপর্যয় ঘটতো না।’ ট্রাম্প যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে আরও একবার নিজেকে দেখতে আগ্রহী তখন ঠিক তার উল্টো মেরুতে অবস্থান করছেন মেলানিয়া।
সূত্রের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান, পিপল সাময়িকীসহ বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম সম্প্রতি মেলানিয়ার মনোভাব নিয়ে খবর ছেপেছে। এতে তারা দাবি করেছে, মেলানিয়ার সমস্ত মনোযোগ তার একমাত্র পুত্র ব্যারনের পড়াশুনার ওপর। তিনি ব্যারনের খেয়াল রাখছেন। হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পর মেলানিয়া তার বাবা-মার সঙ্গেও ইচ্ছেমতো সময় কাটাচ্ছেন। ফার্স্ট লেডির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন তিনি। আরও একবার এমন দায়িত্ব নিতে তিনি আগ্রহী নন। নিজের ঘনিষ্ঠদেরও নাকি এমন কথা বলেছেন মেলানিয়া।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট নেতা ও সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে দিয়ে বিশ্ববাসীকে চমকে দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর তিনি গদিতে বসার পরের চার বছর ছিল বিতর্কে ভরা। বহু নারী তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন। তার পড়াশুনার ডিগ্রি ও আলোচিত চুক্তি থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্যও তিনি সমালোচিত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দুই বার অভিসংশনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে সিনেটের ভোটাভুটিতে টিকে যান ট্রাম্প। তিনি আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কী তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে তার প্রার্থী হওয়ার জোর সম্ভাবনা আছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা