ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ন্যাটোতে যোগ দিতে চাইলে জার্মানি তাদের সমর্থন করবে বলে জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎস।
মঙ্গলবার দুই দিনের জন্য জার্মানিতে গিয়েছিলেন ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের রাষ্ট্রপ্রধানরা। বার্লিনের কাছে জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎসের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পরেই শলৎস জানান, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুই দেশ যদি ন্যাটোতে যোগ দিতে চায়, তাহলে জার্মানি তাদের সম্পূর্ণভাবে সাহায্য করবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান নিয়েই মূলত বৈঠকের ডাক দেয়া হয়েছিল। ফিনল্যান্ড রাশিয়ার সীমান্তে অবস্থিত, তার পাশেই সুইডেন। ফলে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর ওই দুই দেশও আশঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এবং সে কারণেই তারা ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে।
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী মাগডালেনা অ্যান্ডারসন বলেছেন, ''সুইডেনের পার্লামেন্ট দেশের নিরাপত্তা নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করছে। আগামী ১৩ মে তা পার্লামেন্টে পেশ করা হবে। তারপরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।''
ভবিষ্যতে সুইডেনের নিরাপত্তা, ন্যাটোয় যোগদান এই সব বিষয় নিয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা হওয়ার কথা বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সান্না মারিন জানিয়েছেন, ন্যাটোয় যোদ দেওয়ার বিষয়ে তার দেশও এখনো সম্পূর্ণ নিশ্চিত নয়। আলোচনা চলছে। তবে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। নিরাপত্তার স্বার্থেই তারা ন্যাটোয় যোগ দিতে চান বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ঠান্ডা যুদ্ধের সময়েও নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিল অধিকাংশ বাল্টিক দেশগুলি। তারা ন্যাটোতেও যোগ দেয়নি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি তাদের ন্যাটোতে যোগ দিতে বাধ্য করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
এদিন জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস বলেছেন, দুই দেশই ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। জার্মানির বন্ধু। তাদের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত জার্মানি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পরেই প্রথমে ফিনল্যান্ড এবং পরে সুইডেন ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। রাশিয়া তখনই জানিয়েছিল, সীমান্তবর্তী এই দুই রাষ্ট্রকে যদি ন্যাটোয় নেওয়া হয়, তাহলে ইউরোপে শক্তিসাম্য বজায় রাখা রাশিয়ার পক্ষে সম্ভব হবে না। সে ক্ষেত্রে রাশিয়া বাধ্য হবে বাল্টিক অঞ্চলে পরমাণু অস্ত্রের ভান্ডার তৈরি করতে। এখন ওই অঞ্চলে কোনো দেশই পরমাণু অস্ত্র মজুত রাখেনি।
সূত্র: ডয়চে ভেলে ও রয়টার্স।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন