ন্যাটো জোটভুক্ত তিন বাল্টিক রাষ্ট্র রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান আটকে দেওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন রুশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তিনি বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত ‘জঘন্য’, ‘নজিরবিহীন’ ও ‘অকল্পনীয়’।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার যখন মস্কো থেকে সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে যাচ্ছিলেন তখন পূর্ব ইউরোপের তিন দেশ বুলগেরিয়া, নর্থ মেসিডোনিয়া ও মন্টেনিগ্রো তাকে বহনকারী বিমান তাদের আকাশসীমায় ঢুকতে দেয়নি। ফলে বেলগ্রেড না গিয়ে মস্কোয় ফিরে যেতে বাধ্য হন ল্যাভরভ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের জের ধরে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন মস্কোর বিরুদ্ধে যে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ওই তিন দেশ ল্যাভরভকে বহনকারী বিমান আটকে দেয়।
বুলগেরিয়া, নর্থ মেসিডোনিয়া ও মন্টেনিগ্রো তিন দেশই মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য। ইউক্রেনকে ন্যাটো জোটের অন্তর্ভুক্ত হওয়া রুখে দিতেই মূলত দেশটিতে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর এই প্রথম ল্যাভরভ ইউরোপ অভিমুখে কোনও সফর করছিলেন।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর এ পদক্ষেপের ফলে স্বাধীন রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় সার্বিয়ার আন্তর্জাতিক তৎপরতা বাধাগ্রস্ত হয়েছে, অন্তত এই মুহূর্তে রাশিয়ার সঙ্গে সার্বিয়ার সম্পর্ক রক্ষা করার বিষয়টি বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
ল্যাভরভ আরও বলেন, তিন ইউরোপীয় দেশ তাকে বহনকারী বিমান আটকে দেওয়ার কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি। তবে আপাতত তিনি সার্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে মস্কো সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মূলকথা হচ্ছে, সার্বিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ককে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সার্বিয়া সফরকে যদি পাশ্চাত্য গোটা বিশ্বের জন্য হুমকি মনে করে তাহলে আমি বলব পশ্চিমা দেশগুলোর অবস্থা সত্যিই খারাপ হয়ে পড়েছে। সূত্র: ইউরোনিউজ, বলকান ইনসাইট
বিডি প্রতিদিন/কালাম