৫ জুলাই, ২০২২ ০৯:৫৩

ইউক্রেনের ডোনবাসের পতন কি কেবল সময়ের অপেক্ষা?

অনলাইন ডেস্ক

ইউক্রেনের ডোনবাসের পতন কি কেবল সময়ের অপেক্ষা?

ইউক্রেনের ডোনবাসের পতন কি কেবল সময়ের অপেক্ষা?

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। সে হিসেবে চার মাসের বেশি সময় ধরে চলছে এই যুদ্ধ। হাজার হাজার সেনার মৃত্যুতেও ফলপ্রসু কোনও শান্তি আলোচনা হয়নি দুই দেশের মধ্যে। তবে সময়ের সঙ্গে কিয়েভের অবস্থান যে দুর্বল হয়ে পড়ছে তা স্পষ্ট। 

সদ্যই গোটা লুহানস্ক অঞ্চল দখলে নেওয়ার দাবি করেছে রুশ বাহিনী। এরপর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অন্যান্য ফ্রন্টে অভিযান চালিয়ে যেতে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

লুহানস্ক দখলে নেওয়ার পর এবার তাদের নিশানায় রয়েছে ডোনেটস্ক। ফলে ডোনবাসের পতন কেবল সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

লুহানস্ক ও ডোনেটস্ক নিয়ে তৈরি ডোনবাস অঞ্চল। ২০১৪ সাল থকেই পূর্ব ইউক্রেনের ওই অঞ্চলে লড়াই চালাচ্ছে রুশপন্থী বিদ্রোহীরা। গত শনিবার রাশিয়া দাবি করে, লুহানস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের আধিপত্য শেষ করে দিয়েছে তারা। এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর লিসিচানস্ক সম্পূর্ণভাবে রাশিয়ার আধীনে চলে এসেছে। এমনটাই বলেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই শোইগু। গত সপ্তাহেই সেভেরেডোনেটস্ক শহর দখল করেছিল রুশ বাহিনী। সোমবার রয়টার্সকে লুহানস্ক প্রদেশের গভর্নর সেরহি হাইদাই জানান, লুহানস্ক অঞ্চল দখল করেছে রুশ সেনাবাহিনী। এবার তাদের নিশানায় রয়েছে ডোনেটস্ক। ফলে ওই অঞ্চলের স্লোভিয়ানস্ক ও বাখমুট শহরে প্রবল গোলাবর্ষণ করতে পারে পুতিনের বাহিনী।

সেরহি হাইদাই বলেন, “লুহান্সকের পতন অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমি সেখানেই জন্মেছি। ওই অঞ্চলের প্রধানের দায়িত্ব সামলেছি। এটা কষ্টের হলেও মনে রাখতে হবে আমরা যুদ্ধে হারিনি। সেনার জন্য ঘাঁটি হাতছাড়া হওয়া ভাল খবর নয়। তবে মাথায় রাখতে হবে শুধু লিসিচানস্ক শহর দখলে রাখার চাইতেও অধিক গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যুদ্ধ জয় করা। আমি মনে হয় না একবারেই সব সেনাকে অন্য কোনও ফ্রন্টে (ডোনেটস্কে) পাঠাবে রাশিয়া। কারণ, দখল করা জায়গায় পাহারা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তবে তারা যদি সেনা সরায় আমাদের বাহিনী পালটা প্রত্যাঘাত করবে।”

উল্লেখ্য, ডোনবাস অঞ্চলের অর্ধেক এলাকাই লুহানস্কের অন্তর্গত এবং রাশিয়া এখন এই জায়গাটিকেই তাদের যুদ্ধপ্রয়াসের প্রধান কেন্দ্রে পরিণত করেছে। যদি ডোনবাস রাশিয়ার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে যায়, তাহলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হয়তো ইউক্রেন যুদ্ধে বিজয় ঘোষণা করতে পারেন। কিয়েভ থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জো ইনউড আগেই জানিয়েছিলেন, পূর্ব ডোনবাসে রাশিয়া ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রাম দখল করেছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনী যথেষ্ট বেকায়দায় পড়েছে। কারণ সেনা, কামান, সাঁজোয়া গাড়ি এবং বিমানবাহিনীর শক্তির নিরিখে রাশিয়া অনেকটাই এগিয়ে।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর