ভয়, উদ্বেগ আর আতঙ্ক; এ তিনে কাটছে ইয়েমেনিদের দিন। কারণ আগামীকাল মঙ্গলবারই শেষ হচ্ছে দেশটিতে চার মাসের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ, আবারও তাই দেখা দিয়েছে যুদ্ধ আর সংঘাতের শঙ্কা।
রাজধানী সানার বাসিন্দা ৫০ বছর বয়সী সালেহ আহমেদ বলেন,‘এই যুদ্ধবিরতির সমাপ্তিতে আবারও নানা ধরনের অগ্নিপরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফের যুদ্ধ শুরু হবে, অবরুদ্ধ হবে রাস্তা, বাড়বে জ্বালানির দাম, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে বাড়বে, সাধারণ মানুষের মৃত্যু বাড়বে। জীবন হবে তিক্ত আর অসহনীয়।’
জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের ও সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের সমর্থিত সরকার এই চার মাসের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিল।
শর্ত ভাঙাভাঙির অভিযোগ থাকলেও এই যুদ্ধবিরতি ভালোই স্বস্তি দিয়েছিল ইয়েমেনের সাধারণ মানুষদের। শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ না বাড়লে ফের ঘটবে রক্তপাত এমন শঙ্কা চারিদিকে।
মিনিবাসচালক আহমেদও সুদিন ফুরিয়ে যাওয়ায় আছেন শঙ্কায়। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির আগে জ্বালানির জন্য স্টেশনের বাইরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতাম। এখন যেকোনো জ্বালানি পাই। আমি কাজ করতে পারছি, পরিবারের জন্য উপার্জন করছি।’
জাতিসংঘও বলছে, যুদ্ধবিরতির ফলে মানবিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। পেট্রল স্টেশনগুলোর সামনে গাড়ির লম্বা লাইন কমেছে। ইয়েমেনিরা সারা দেশে আরও সহজে ভ্রমণ করার সুযোগ পেয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল