সৌদি আরব দিন দিন মধ্যপ্রাচ্যে মাদকের রাজধানীতে পরিণত হচ্ছে এবং অবৈধ মাদকদ্রব্যের প্রধান গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।
গত শুক্রবার (সেপ্টেম্বর) মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এমন শিরোনাম দিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে।
গত বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের একটি গুদাম থেকে ৪ কোটি ৭০ লাখ পিস অবৈধ অ্যামফেটেমিন ট্যাবলেট উদ্ধার করার পর এমন মন্তব্য করলো সিএনএন।
রেকর্ড পরিমাণ এসব নিষিদ্ধ ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করার ঘটনাটি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন-তা হল মধ্যপ্রাচ্যের মাদকের রাজধানী হিসেবে সৌদি আরবের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা, চাহিদা বাড়ায় এবং সিরিয়া ও লেবানন থেকে চোরাচালানকারীদের প্রাথমিক গন্তব্য হয়ে উঠছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জেনারেল ডিরেক্টরেটের মতে, বুধবারের অভিযানটি মাদকদ্রব্য আটকের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় একক চোরাচালানের প্রচেষ্টা ছিল। যদিও কর্তৃপক্ষ জব্দ করা মাদকের নাম বা এটি কোথা থেকে এসেছে তা জানায়নি।
জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম অফিস (ইউএনওডিসি) এর আগে বলেছিল, "মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি থেকে অ্যামফিটামিন বাজেয়াপ্ত হওয়ার রিপোর্টগুলি প্রধানত ক্যাপ্টাগন বহনকারী ট্যাবলেটগুলিকে উল্লেখ করে।
ক্যাপ্টাগন মূলত সিন্থেটিক স্টিমুল্যান্ট ফেনিথিলাইন ধারণকারী একটি ঔষধি পণ্যের ব্র্যান্ড নাম। যদিও এটি আর বৈধভাবে উৎপাদিত হয় না, ইউরোপিয়ান মনিটরিং সেন্টার ফর ড্রাগস অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিকশন অনুসারে, ক্যাপ্টাগন নাম বহনকারী নকল ওষুধগুলি নিয়মিত মধ্যপ্রাচ্যে জব্দ করা হয়।
সৌদি আরব এবং আশেপাশের অঞ্চলে ক্যাপ্টাগনের মাদকের আস্তানা সময়ের সাথে বেড়েছে। এই সপ্তাহের শুরুতে, একটি মার্কিন কোস্ট গার্ড বোট ওমান উপসাগরে একটি মাছ ধরার নৌকা থেকে ৩২০ কেজি অ্যামফিটামিন ট্যাবলেট এবং মিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রায় ৩ হাজার কেজি হাশিশ আটক করেছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, সৌদি আরব মাদকদ্রব্যের অত্যন্ত আকর্ষণীয় গন্তব্য এবং এই অবস্থা দিন দিন কেবল বাড়ছেই।
সূত্র: সিএনএন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন