চরম অর্থনৈতিক সংকটে উত্তাল হয়ে ওঠে এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি। ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে গোটা দেশের জনগণ। পরিস্থিতির এতটাই অবনতি হয় যে, রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপাকসের সরকারি বাসভবনে হামলা চালায় দেশটির জনগণ। জনরোষের মুখে পড়ে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া। এরপর শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন গোটাবায়ার আস্থাভাজন রনিল বিক্রমাসিংহে।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের পরিণতি সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের চেয়েও ভয়ঙ্কর হবে বলে ইঙ্গিত দিলেন দেশটির সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য এবং সমাজি ভানিথা বলভেগেয়া পার্টির প্রধান হিরুনিকা প্রেমাচন্দ্র।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই ইঙ্গিত দেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার বিরোধী নেতা সাজিদ প্রেমাদাসার দল সমাজি জন বলভেগেয়ার নারীবিষয়ক অঙ্গসংগঠন সমাজি ভানিথা বলভেগেয়া। হিরুনিকা প্রেমাচন্দ্র–এর নেতৃত্বে আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে হিরুনিকা বলেন, “শিগগিরই রনিলকে বিদায় নিতে হবে। সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের চেয়েও তার বিদায় অনেক বেশি আতঙ্কের হবে। তাকে দ্রুতই ক্ষমতাচ্যুত হয়ে এবং জেলে যেতে হবে।”
আরেকটি অভ্যুত্থানের জন্য শ্রীলঙ্কার জনগণ প্রস্তুত হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন প্রেমাচন্দ্র।
তিন বলেন, “অসহায় মানুষেরা প্রধান প্রধান ব্যবসায়ীদের বাড়িগুলো জ্বালিয়ে দেবে। সহায়সম্বলহীন গরিব মানুষেরা ধনীদের সম্পদ দখল করবে। ইতোমধ্যে ধনীদের মালিকানাধীন সম্পদের দখল শুরু হয়ে গেছে। কয়েক দিন আগে বাট্টারামুল্লাতে এক ধনী ব্যক্তির বাড়ি থেকে কিছু জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।”
এ সময় বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রেমালাল জয়সেকেরার নিয়োগ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন হিরুনিকা প্রেমাচন্দ্র।
তিনি বলেন, ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি এ জয়সেকেরাই এক সমাবেশে ইউএনপি সমর্থক দোদানগোদাকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত। ইউএনপি কীভাবে তাকে মন্ত্রী করার পদক্ষেপ মেনে নিল?
উল্লেখ্য, দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন গোটাবায়া। গোটাবায়া যখন বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তখন শ্রীলঙ্কার মন্ত্রী ও রাজনীতিকদের একটি দল তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। সূত্র: ডেইলি মিরর এলকে, আইল্যান্ড এলকে
বিডি প্রতিদিন/কালাম