ভারতের কেরালা রাজ্যে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এবার ২৪ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সোমবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এতে ভাইরাসটি নিয়ে ভারতে আতঙ্ক আরও বাড়ল।
গত জুলাই থেকে কেরালায় নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এটি দ্বিতীয় মৃত্যু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) নিপাহকে অগ্রাধিকারের প্যাথোজেন হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে, কারণ এটি একটি মহামারী সৃষ্টির আশঙ্কা দেখাচ্ছে। নিপাহ সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য কোনও ভ্যাকসিন নেই। নিরাময়ের জন্য নেই কোনও চিকিৎসাও।
বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে কেরালা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নিপাহ ভাইরাস বাদুড় এবং শূকরের মতো প্রাণী থেকে ছড়ায়। মানুষের জন্য এই ভাইরাস প্রাণঘাতী।
উত্তর কেরালার মালাপ্পুরাম শহরের জেলা মেডিকেল অফিসার রেনুকা বলেছেন, মৃত ওই ছাত্রটি গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে জ্বরে আক্রান্ত হন এবং এর পাঁচ দিন পরেই মারা যান।
রেনুকা আরও বলেন, পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে পাঠানো ভিকটিমের রক্তের নমুনা পরীক্ষায় ৯ সেপ্টেম্বর নিপাহ সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।
ডা. রেনুকা জানান, আরও পাঁচ ব্যক্তি যারা নিপাহ সংক্রমণের প্রাথমিক উপসর্গে ভুগছেন তাদের রক্তের নমুনা নেওয়া হয়েছে এবং পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তারা ওই শিক্ষার্থীর সংস্পর্শে এসেছিলেন কিনা, সে সম্পর্কে কিছু বলতে পারেননি তিনি।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ বলেছেন, বেঙ্গালুরু থেকে কেরালায় পড়তে আসা ওই শিক্ষার্থীর সরাসরি সংস্পর্শে আসা ১৫০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের সবাইকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
গত জুলাই মাসে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর মারা যাওয়ার পর এই বছর কেরালার মালাপ্পুরমে নিপাহ সংক্রমণে এটি দ্বিতীয় মৃত্যু।
২০১৮ সালে কেরালায় প্রথম নিপাহ ভাইরাসের উপস্থিতি সম্পর্কে জানা যায়, তখন এই ভাইরাসে কেরালায় বেশ কয়েকজন মানুষের মৃত্যু হয়। সূত্র: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/একেএ