একবিংশ শতাব্দীতে এসেও যুক্তরাজ্যে শিশুরা বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি তিন শিশুর মধ্যে একটিরও বেশি শিশু দারিদ্র্যের মধ্যে রয়েছে। এছাড়া ২৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ যুক্তরাজ্যে দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে।
সোশ্যাল মেট্রিক্স কমিশন (এসএমসি) এর সমীক্ষায় দেখা গেছে, কস্ট অফ লিভিং ক্রাইসিসের কারণে ২০১৯ সাল থেকে আরও ২ মিলিয়ন মানুষ মারাত্মক কষ্টের মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে মোট ১৬ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে। যা যুক্তরাজ্যের মোট জনসংখ্যার ২৪ শতাংশ। ২০০০ সালে এই ধরনের রেকর্ড শুরু হওয়ার পরে এটাই সর্বোচ্চ দারিদ্র্যের ঘটনা। যত ধরনের মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে রয়েছে তার মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কোভিড মহামারীর আগের সময়ের চেয়ে বর্তমানে ২ লাখ ৬০ হাজার অতিরিক্ত শিশু দারিদ্র্যের মধ্যে রয়েছে। এই হিসেবে প্রায় ৫.২ মিলিয়ন বা ৩৬ শতাংশ শিশু প্রভার্টি দ্বারা আক্রান্ত। এই শিশুদের মধ্যে আবার প্রায় ৫৫ শতাংশ শিশু দুটি বা তিনটি শিশু রয়েছে এমন পরিবারে বাস করে। অন্যদিকে চাইল্ড বেনিফিট আবার দুই শিশুতে ক্যাপ করা আছে। ফলে অনেক শিশু এই চাইল্ড বেনিফিট থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এই পলিসি বাতিল করার কথা জানিয়েছেন। এই লক্ষ্যে গত জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী একটি চাইল্ড প্রভার্টি টাস্কফোর্স চালু করেন।
সরকারের বর্তমান সংজ্ঞা অনুসারে, গড় আয় এবং হাউজিং ব্যয় পরিমাপ করে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ দারিদ্র্যের মধ্যে ছিল। এর মধ্যে ৩৬ লাখ ছিল শিশু। এদিকে সব মিলিয়ে ১৯৫০ এর দশকের পর থেকে ব্রিটিশরা কস্ট অফ লিভিং ক্রাইসিস সহ নানা ধরনের আর্থিক সংকটে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছে।
সোশ্যাল মেট্রিক্স কমিশনের চেয়ারম্যান ফিলিপা স্ট্রাউড বলেন, এই শতাব্দীর শুরু থেকেই সমাজের যেকোনও পর্যায়ে দারিদ্র্যের হার বেশি৷ শিশুরাও এতে ভুক্তভোগী হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে নতুন পলিসি বাস্তবায়ন করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ