পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে আগামী ২৪ নভেম্বর দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। এ বিক্ষোভ দমনে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। রাওয়ালপিন্ডিতে ১৪৪ ধারা জারি করে জনসমাবেশ, মিছিল এবং চারজনের বেশি লোকের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কর্মসূচি ঠেকাতে প্রস্তুত রয়েছে ১০ হাজার পুলিশ। গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে প্রবেশের পথগুলো কনটেইনার দিয়ে বন্ধ করার প্রস্তুতি চলছে। আজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে ইসলামাবাদ, খাইবারপাখতুনখোয়া এবং পাঞ্জাবের মোবাইল ইন্টারনেট। শহরের ৫০টি স্থান অবরুদ্ধ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। পিটিআইকর্মীরা রাজধানী ইসলামাবাদে যেন প্রবেশ করতে না পারে, সেই চেষ্টা চলছে।
পুলিশ সূত্রের বরাতে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ৫০টি প্রবেশপথ পণ্যবাহী কনটেইনার, ব্লেডযুক্ত তার ও কাঁটাতার দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য ও এলিট ফোর্স মোতায়েন থাকবে। কেবল পুলিশ প্রস্তুত নয়, বাহিনীর টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণের সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া সব কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী ২৪ নভেম্বর বড় বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন ইমরান খান। এ বিক্ষোভকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। বলা হচ্ছে, পিটিআইর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে এ সমাবেশ।
এদিকে, আদিয়ালা কারাগার থেকে এক বিবৃতিতে ইমরান খান বলেছেন, ইসলামাবাদে যে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে তা স্থগিত করা হবে না। কারণ এখন পর্যন্ত তার মুক্তির ব্যাপারে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলছে না।
ইমরান বলেন, আমার দলের নেতাদের মাধ্যমে সমাবেশ বন্ধের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে নেতাদের মুক্তির বিষয়ে কোনো কথা বলা হচ্ছে না।
ইমরান খান অভিযোগ করে বলেন, ইসলামাবাদ হাইকোর্ট জামিন দিলেও সরকার আমার মুক্তির ব্যবস্থা করছে না। এক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ইমরান খান বলেন, কর্তৃপক্ষ আমার বন্দিকে দীর্ঘায়িত ও বিক্ষোভ সমাবেশ বন্ধ করতে চায়।
পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আর আমাদের বিক্ষোভ ছাড়া কোনো উপায় নাই।
সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি থাকলেও আলোচনার দরজা খোলা থাকবে বলেও উল্লেখ করেছেন ইমরান খান।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম