সোমবার রাতে কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে ১১টি আসনের জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দেওয়ার পর রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোটের সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেল বলেই মনে করছেন প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশ। তবে তারপরেও আশাবাদী এক সময়ের পশ্চিমবঙ্গের শাসনকারী বামফ্রন্ট। কংগ্রেসের জন্য সমঝোতার রাস্তা খোলা রেখেই দ্বিতীয় দফায় গতকাল প্রার্থী ঘোষণা করেছে বামফ্রন্ট। গতবার কংগ্রেসের জেতা ৪টি আসন ফাঁকা রেখেই গতকাল বিকালে প্রার্থী ঘোষণা করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তবে কংগ্রেসকে ২৪ ঘণ্টা সময়ও দিয়েছেন তিনি। আজ বিকাল ৪টার মধ্যে কোনো সুরাহা বার না হলে, বাকি চারটি আসনেও প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ফলে আজকেই বোঝা যাবে জোটের অবস্থা কোন দিকে গড়াবে। নাকি কংগ্রেস ও বাম একজোট হবেই না। যদিও অন্য একটি অংশের মত হলো, রাজ্যে রাজ্যে বিজেপিকে ঠেকাতে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির সঙ্গে জোট করতে কংগ্রেসের কী সমস্যা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন রাহুল গান্ধী। বস্তুত, জোট ভাঙলেও কোনো পক্ষই তার ‘দায়’ নিজেদের কাঁধে নিতে চায় না বলে টানাপড়েন আছে। এর আগে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ২৫টিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বামেরা। বাকি ১৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল সোমবার। শেষমেশ তা হয়নি। গতকাল বিকালে সাংবাদিক বৈঠক করে বিমান বসু গতবার কংগ্রেসের জেতা উত্তর মালদহ, দক্ষিণ মালদহ, জঙ্গিপুর এবং বহরমপুর এ চারটি আসন ছেড়ে বাকি ১৩টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। বিমানবাবু জানান, মুর্শিদাবাদ থেকে এবার তাঁদের প্রার্থী হচ্ছেন মহম্মদ বদরোজ্জা খান। কৃষ্ণনগর থেকে নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন শান্তনু ঝা। ব্যারাকপুর থেকে গার্গী চট্টোপাধ্যায়কে। বসিরহাটে শাসক দল তৃণমূলের প্রার্থী নূসরত জাহানের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানো হচ্ছে পল্লব সেন গুপ্তকে। তৃণমূলের আর এক তারকা প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে যাদবপুরে দাঁড়াচ্ছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তবে কংগ্রেসের তরফে গতকাল আসন সমঝোতার ইঙ্গিত মেলেনি। সমঝোতার কোনো সম্ভাবনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তা উড়িয়ে দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। তিনি বলেন, ‘বামেদের প্রস্তাব কোনোভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয় আমাদের পক্ষে। বীরভূমে কাকে দাঁড় করানো উচিত, দার্জিলিঙে কাকে দাঁড় করানো উচিত, সব ওঁরা ঠিক করে দেবেন? তা হতে পারে না। তবে সোমেনবাবুর কথার পরিপ্রেক্ষিতে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এদিন বলেন, ‘আসন ভাগাভাগি করতে গিয়ে সম্মান-অসম্মান নিয়ে ভাবার সময় নয় এটা। এ মুহূর্তে দেশে সবচেয়ে বেশি অসম্মানিত সাধারণ মানুষ। বিজেপি এবং তৃণমূলকে হটিয়ে তাদের রেহাই দেওয়াই লক্ষ্য হওয়া উচিত। তাই কাউকে অনুরোধ করিনি আমরা। বরং মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই চারটি আসন ফাঁকা রেখেছি।’
শিরোনাম
- বড় জয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করলো জার্মানি
- জাতিসংঘের গাজা প্রস্তাব ফিলিস্তিনিদের অধিকার পূরণে ব্যর্থ : হামাস
- বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৭০ বাংলাদেশি
- আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
- বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
- ১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
- পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
- সরকারের সমালোচনা: ভেনেজুয়েলায় নারী চিকিৎসকের ৩০ বছরের কারাদণ্ড
- রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে হতাহত ১৮
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
- শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
- গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া