ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে ২০০৮ সালের ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার মাস্টারমাইন্ড (মূল পরিকল্পনাকারী) ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার অন্যতম শীর্ষ নেতা জাকিউর রহমান লাখভিকে পাকিস্তানে গ্রেফতার করা হয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অর্থায়নের অভিযোগে গতকাল পাকিস্তানের কাউন্টার-টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) তাকে গ্রেফতার করে।
লাখভিকে পাকিস্তানের কোন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে তথ্য সিটিডি প্রকাশ করেনি। ২০০৮ এর ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের মুজাফফরবাদে লাখভিকে প্রথম গ্রেফতার করা হয়। তাকে ভারতের কাছে তুলে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল পাকিস্তান। ২০১৫ এর ১০ এপ্রিল তিনি জামিনে মুক্ত হন। সিটিডির বিবৃতে বলা হয়েছে, ‘সিটিডি পাঞ্জাব এক গোয়েন্দাভিত্তিক অপারেশনের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অর্থায়নের অভিযোগে নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার নেতা জাকিউর রহমান লাখভিকে আটক করে।’ সিটিডি জানায়, একটি পুলিশ স্টেশনে লাখভির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের অভিযোগ থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিটিডি আরও জানায়, লাখভি একটি ওষুধের দোকান চালান যেটির অর্থ তিনি সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের কাজে ব্যবহার করেন। তিনি এবং অন্যরাও এই দোকান থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছেন এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে তা ব্যবহার করেছেন। ব্যক্তিগত খরচেও তিনি এই অর্থ ব্যবহার করেছেন। নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছাড়াও লাখভি জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী বলে জানায় সিটিডি।
এদিকে ভারত ও পাকিস্তান নিজেদের পারমাণবিক স্থাপনার তালিকা বিনিময় করেছে। পারমাণবিক স্থাপনায় আক্রমণ নিষিদ্ধকরণ সম্পর্কিত এক দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় গত শুক্রবার এ তালিকা বিনিময় করে দক্ষিণ এশিয়ার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দেশ।
ভারতের পক্ষ থেকে এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, কূটনীতিক চ্যানেলের মাধ্যমে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে এই তালিকা বিনিময় করা হয়েছে। এই ধরনের তালিকা ৩০তম বারের মতো বিনিময় করা হয়েছে। তালিকা বিনিময় প্রথমবারের মতো ১৯৯২ সালের ১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার পারমাণবিক স্থাপনায় আক্রমণ নিষিদ্ধকরণ চুক্তির আওতায় করা হয়েছিল। ১৯৮৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত এই চুক্তিটি ১৯৯১ সালের ২৭ জানুয়ারিতে কার্যকর হয়েছিল। এরপর দুই দেশের মধ্যে বছরের প্রথম দিনেই এ তালিকা হস্তান্তর শুরু হয় ১৯৯২ সালে। এনডিটিভি।