তাইওয়ান নিয়ে ফের বড়সড় হুমকি দিল চীন। দেশটি বলছে, তাইওয়ান যদি স্বাধীনতার পথে এগোনোর চেষ্টা করে তাহলে চীন কঠোর পদক্ষেপ নেবে। গতকাল চীনের তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয়ের মুখপাত্র মা জিয়াওগুয়াং এই হুঁশিয়ারি দেন। আসছে নতুন বছর তাইওয়ানের স্বাধীনতার উসকনি এবং বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপ দুইই বাড়তে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তাইওয়ানকে নিজেদের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন একটি প্রদেশ বলে মনে করে চীন। অন্যদিকে, তাইওয়ান দাবি করে তারা স্বাধীন, সার্বভৌম। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাইওয়ানকে নিয়ন্ত্রণে রাখা ‘অনিবার্য’ বলে মনে করেন। এ লক্ষ্যে তিনি দ্বীপটিকে নানা দিক থেকেই চাপে রাখছেন। গত অক্টোবরে বেইজিংয়ের প্রবল চাপের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাইওয়ানকে। ওই সময় মাত্র চার দিনে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা সীমানায় প্রায় ১৫০টি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে চীন।
চীনের এই চাপের মুখে তাইওয়ানে বেড়েছে ক্ষোভ, আর ওয়াশিংটনের বেড়েছে উদ্বেগ। ৪০ বছরের মধ্যে চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের সামরিক উত্তেজনা এ বছরই সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ পরিস্থিতিতেই বেইজিংয়ের কর্মকর্তা গণমাধ্যমে এক ব্রিফিংয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘চীন শান্তিপূর্ণভাবে তাইওয়ানের সঙ্গে পুনরেকত্রীকরণের যথাসাধ্য চেষ্টা চালাতে ইচ্ছুক। কিন্তু স্বাধীনতা নিয়ে শেষ সীমা (রেড লাইন) অতিক্রম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি যদি স্বাধীনতার উসকানি দেয়, প্রভাব খাটায় কিংবা কোনো রেড লাইন অতিক্রম করে তাহলে আমাদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।’ চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের টানাপোড়েনের সম্পর্কের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে তাইওয়ান ইস্যু। আনুষ্ঠানিক কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকার পরও তাইওয়ানের মূল আন্তর্জাতিক সমর্থক এবং অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। চীন প্রায়শই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাইওয়ান ইস্যুকেই সবচেয়ে স্পর্শকাতর বলে বর্ণনা করে থাকে।