শনিবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
কভিড গবেষণায় বড় সাফল্য

গুরুতর অসুস্থতার জন্য দায়ী জিনের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা

গুরুতর অসুস্থতার জন্য দায়ী জিনের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা

কভিডে তিন বছর ধরে তটস্থ গোটা বিশ্ব। তবে হাত গুটিয়ে বসে নেই বিজ্ঞানীরাও। এরই মধ্যে হাজারো গবেষণা চালাচ্ছেন তাঁরা। খুঁজছেন মারণ ভাইরাস থেকে মুক্তির পথ। সম্প্রতি একদল পোলিশ বিজ্ঞানী একটি জিন খুঁজে পেয়েছেন; যা নির্ধারণ করে কোন রোগী কতখানি কাহিল হবেন কভিডে। মনে করা হচ্ছে, এ আবিষ্কারের ফলে চিকিৎসকরা ঝুঁকিবহুল কভিড রোগীদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হবেন।

কভিডের প্রকোপের পরও অনেকেই ভ্যাকসিন নিতে গড়িমসি করছেন। এর ফলে পূর্ব ও মধ্য ইউরোপে বিপুল পরিমাণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, এবার এ জিনটি চিহ্নিত করে কারা কভিড আক্রান্ত হলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন তা নিশ্চিত করা যাবে। সেসব ব্যক্তিকে তড়িঘড়ি ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা যাবে।

পোলিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যাডাম নিয়েদজিলস্কি বলেছেন, ‘একটানা দেড় বছর ধরে গবেষণার পর আমাদের বিজ্ঞানীরা সেই জিনটি চিহ্নিত করতে পেরেছেন, যেটি কভিডে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার জন্য দায়ী। এর মানে ভবিষ্যতে আগে থেকেই আমরা সেই রোগীকে চিহ্নিত করতে পারব যিনি গুরুতর অসুস্থ হতে পারেন।’

পোল্যান্ডের মেডিকেল ইউনিভার্সিটি অব বিয়ালিস্টোকের গবেষকরা অতিগুরুত্বপূর্ণ এ আবিষ্কারটি করেছেন। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, একজন মানুষের বয়স, শরীরের ওজন, এমনকি লিঙ্গভেদও কম অসুস্থ ও গুরুতর অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে। শতাংশের হিসাবে কতসংখ্যক পোলিশ নাগরিকের মধ্যে ওই জিন রয়েছে ১৪ শতাংশের মধ্যে। অন্যদিকে গোটা ইউরোপে ৮-৯ শতাংশ উপস্থিতি রয়েছে ঝুঁকিবহুল এ জিনের। ভারতে ওই জিনের শতাংশের হিসাবও দিয়েছেন পোলিশ গবেষকরা। আর তা ২৭ শতাংশ।

সর্বশেষ খবর