ইউক্রেনকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। অন্যথায়, রাশিয়ার লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশটিতে রুশ সেনা অভিযান চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। সোমবার ইউক্রেনের মারিউপোল, খারকিভ, সুমি ও রাজধানী শহর কিয়েভে হিউম্যানিটারিয়ান করিডোরের অংশ হিসেবে সাময়িক অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। সেখান থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নিতেই এই সম্মতি পুতিন বাহিনীর। এর আগে শনিবারও মারিউপোলে সাময়িক অস্ত্রবিরতি দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী দুই দিনে ওই নগরী থেকে প্রায় ২ লাখ বেসামরিক লোক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন, কিয়েভের আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত তিনি দেশটিতে সেনা অভিযান চালিয়ে যাবেন। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দর নগরীতে আটকে পড়া বেশিরভাগ লোককেই রুশ বাহিনী ঘিরে রেখেছে।
গত ছয় দিনেরও বেশি সময় ধরে গোলাবর্ষণ থেকে বাঁচতে লুকিয়ে আছেন তারা। সেখানে খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রুশ সেনারা।
রবিবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন পুতিন। ফোনে পুতিন এরদোগানকে বলেছেন, ইউক্রেন লড়াই বন্ধ করলে ও মস্কোর দাবি মেনে নিলেই কেবল ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান বন্ধ হবে। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের এই দেশে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। সোমবার (গতকাল) অভিযানের দ্বাদশতম দিন ছিল। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখল করে নিয়েছে রাশিয়ার সেনারা। এতে দেশটির বিভিন্ন নগরীতে হতাহত হয়েছে বহু সংখ্যক মানুষ।
রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনের এই সামরিক অভিযানের অর্থ যুদ্ধ নয়। বরং বিশ্বব্যাপী একটি সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রতিহত করার লক্ষ্যে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত করা, দেশটির নিরস্ত্রীকরণ ও ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি প্রতিহত করার জন্য তিনি এই অভিযান চালাচ্ছেন।