কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে জমি বিতর্ক ইস্যুতে সাময়িক স্বস্তিতে নোবেলজয়ী ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনের অমর্ত্য সেনের ‘প্রতীচী’ নামক বাড়িতে তার নামে থাকা ১৩ শতক জমি ফেরত চেয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল, এর ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্ট।
গতকাল বিচারপতি বিভাস রঞ্জন দের এজলাসে অমর্ত্য সেনের বিতর্কিত জমি সম্পর্কিত একটি মামলার শুনানি ছিল। এ দিন আদালত জানান, এই সম্পর্কিত একটি মামলা চলছে বীরভূম জেলা দায়রা আদালতে। ওই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অমর্ত্য সেনের জমির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। হাই কোর্ট জানিয়েছেন, আগামী ১০ মে জেলা আদালতে ওই মামলার পরবর্তী শুনানি।
অর্থাৎ ততদিন পর্যন্ত বিতর্কিত ১৩ শতক জমি নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না। আদালতের এই রায়ে সাময়িক স্বস্তি পেলেন অমর্ত্য সেন।
১৯ এপ্রিল বিশ্বভারতীর তরফে অমর্ত্য সেনের বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনে প্রতীচী বাড়িতে নোটিস লাগিয়ে জোর করে দখলকৃত ১৩ শতক জমি খালি করার জন্য ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেয়। সে ক্ষেত্রে আগামী ৬ মের মধ্যে জমি খালি করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় বল প্রয়োগ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বভারতীর ওই নোটিসের স্থগিতাদেশ জারির আর্জি চেয়ে সিউড়িতে অবস্থিত জেলা আদালতে মামলা করেন অমর্ত্য সেনের আইনজীবীরা। আগামী ১৫ মে সেই মামলার শুনানির দিন ধার্য আছে। এ অবস্থায় বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। জরুরি ভিত্তিতে সেই মামলা শোনার আবেদন গৃহীত হয়।