আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর পর কেমন হবে জনজীবন? সেটা কার না জানতে ইচ্ছে করে? সেই ভবিষ্যতের ঝলক দেখানোর ব্যবস্থা হয়েছে দুবাইয়ের এক জাদুঘরে! সেই জাদুঘরে মিলবে মানুষের মতো একটি জিনিস। নাম তার অ্যামেকা। অবিকল মানুষের মতো মুখ! এমনকি চাউনিটাও হুবহু এক! শুধু কি তা-ই? রীতিমতো বাক্যালাপও করে সে! অ্যামেকা আসলে বিশ্বের সব থেকে উন্নত হিউম্যানয়েড রোবট! বলা যায়, হিউম্যান-রোবোটিক্স প্রযুক্তির যুগান্তকারী আবিষ্কারের ফল সে। অ্যামেকার দর্শন পেলে যেতে হবে দুবাই। এখানকার ‘মিউজিয়াম অব দ্য ফিউচার’-এ রাখা হয়েছে এ হিউম্যানয়েড রোবটটিকে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে উদ্বোধন করা হয়েছিল এ জাদুঘরটি। যা দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। ফলে যারা পরবর্তী সময় দুবাই ঘুরতে যাবেন, তারা অবশ্যই একবার জেতে পারেন এই জাদুঘরে। প্রথম দর্শনেই একেবারে প্রেমে পড়ে যাওয়ার মতো সুন্দর করে বানানো হয়েছে ভবিষ্যতের জাদুঘরকে। আকাশছোঁয়া বড় বড় বিল্ডিংয়ের মাঝেই যেন সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে উপবৃত্তাকার আকৃতির এই জাদুঘরটি।
৩০,০০০ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে থাকা রূপালি রাঙা এ ভবনটি নির্মাণ শিল্পের উদ্ভাবনের হদিশ দেয়। এখানেই শেষ নয়, জাদুঘরের বাইরের অংশজুড়ে ঝলমলে রূপালি রঙের ওপর করা হয়েছে আরবীয় ক্যালিগ্রাফি। এর পাশপাশি দুবাইয়ের শাসক শেখ মহম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের উক্তিও ফুটে উঠেছে দেওয়ালজুড়ে।
যা ভবিষ্যতের সফরের প্রতীক। এর মধ্যে একটি উক্তিতে লেখা রয়েছে যে, ‘আমরা হয়ত ১০০ বছর ধরে বেঁচে থাকব না। কিন্তু আমাদের সৃজনশীলতার ফল আমরা চলে যাওয়ার পরেও থেকে যাবে।’