বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

অভিন্ন শরণার্থী নীতি গ্রহণ করতে পারে ইইউ

অনেক বছর ধরে শরণার্থীদের ঢল সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২০১৫ সালে মূলত সিরিয়া যুদ্ধের কারণে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ ইউরোপে প্রবেশ করার পর থেকে ইইউ দিশাহারা হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ভূমধ্যসাগর উপকূলবর্তী দেশগুলোর জন্য সেই সংকট বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে। সেই অবস্থার ইতি চান ইউরোপের নেতারা। চলতি সপ্তাহেই অভিন্ন শরণার্থী নীতির প্রশ্নে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ঐকমত্যের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। তবে ইউরোপের বহিঃসীমানায় কড়াকড়ি বাড়ানোর পরিকল্পনার সমালোচনা বাড়ছে। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী তা সত্ত্বেও আশার আলো দেখছেন। জার্মানির মতো অবশ্য ফ্রান্স ও সুইডেনও একাই সেই বোঝা কাঁধে নিতে চাইছে না। ফলে কিছু বিচ্ছিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে কোনো রকমে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। অবশেষে চলতি সপ্তাহেই এ ক্ষেত্রে বোঝাপড়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠছে।

ইইউ অভিবাসন কমিশনার ইভা ইয়োহান্সসন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, একসঙ্গে কাজ করলে তবেই ইউরোপ শক্তিশালী হতে পারে। মানবিক অথচ কড়া পন্থায় অভিবাসন সামলানো গেলে তবেই সবার সুবিধা হবে, বলেন ইয়োহান্সসন। তবে সম্ভাব্য বোঝাপড়ার আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশ এখনো শরণার্থীদের ন্যায্য বণ্টন মেনে নিতে প্রস্তুত নয়। বিশেষ করে পূর্ব ইউরোপের অনেক দেশের পপুলিস্ট সরকার বহিরাগতদের আশ্রয় দেওয়ার বিরোধিতা করে আসছে। ফলে আপস হিসেবে তারা শরণার্থী পরিস্থিতি সামলাতে অর্থ বা লোকবল দিতে সম্মতি জানাতে পারে। সেই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহিঃসীমানায় রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনের প্রাথমিক মূল্যায়নের নিয়ম চালু করার বিতর্কিত প্রস্তাবও বিবেচনা করা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ইইউ-এর সব সদস্য দেশ সাধারণ শরণার্থী নীতি মেনে নিলেও এমন আপস মীমাংসার সমালোচনা করছে অক্সফামের মতো অনেক সংগঠন।

সর্বশেষ খবর