দেড় সপ্তাহের জন্য মহাকাশ মিশনে গিয়ে সেখানেই ‘ফেঁসে’ গেছেন সুনীতা উইলিয়ামস ও ব্যারি বুচ উইলমোর। মহাকাশ স্টেশনে যাওয়ার পর তাদের মহাকাশযানে ত্রুটি ধরা পড়ে। ফলে তাদের পৃথিবীতে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে যায়। ধরা পড়ার পর পৃথিবীতে ফিরতে পারছেন না তারা। এ অবস্থায় মহাকাশচারীদের শরীর খারাপ হতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম। খবরে বলা হয়, দুজনের পেশি শিথিল হয়ে যাচ্ছে, হাড়ের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। ঠিক কী জানা যাচ্ছে? তবে কবে তারা ফিরবেন তা এখনো অনিশ্চিত। দুই মহাকাশচারীকে নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। নাসা এখনো পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না তাদের কবে ফেরানো সম্ভব। তবে সুনীতাদের সুরক্ষিতভাবে পৃথিবীতে ফেরাতে প্রতিনিয়ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে নাসার তরফে। এরই মধ্যে খবর, ধীরে ধীরে শরীর ভাঙতে শুরু করেছে সুনীতা ও বুচের। কারণ মহাকাশে দীর্ঘদিন থাকলে মহাকাশচারীরা একাধিক শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হন। ইতোমধ্যে সুনীতা ও বুচও সেই সব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে হাড়। তবে এ নিয়ে নাসার তরফে কোনো বিবৃতি প্রকাশ্যে আসেনি। একাংশ বিশেষজ্ঞ আবার বলছেন, মহাকাশচারীদের কাছে এসব স্বাভাবিক ও চেনা অসুস্থতা। নাসা জানিয়েছে, হালকা মেজাজেই রয়েছেন সুনীতার। তাদের দ্রুত পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে।
দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে মহাকাশে আটকে রয়েছেন সুনীতা ও বুচ। যে বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানে চেপে তারা মহাকাশে গিয়েছিলেন সেটিতে ত্রুটি ধরা পড়েছে। ত্রুটি মেরামত না হওয়া পর্যন্ত পৃথিবীতে ফিরতে পারবেন না তারা। জানা গেছে, স্টারলাইনারে হিলিয়াম গ্যাস লিক করেছে চার জায়গা থেকে। থ্রাস্টারেও গোলমাল দেখা দিয়েছে।
গত ৫ জুন বোয়িং স্টারলাইনারে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা ও বুচ। সম্প্রতি মহাকাশযান প্রস্তুতকারক সংস্থা জানিয়েছে, বোয়িং স্টারলাইনার পরিচালনা ব্যবস্থার বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। পরীক্ষার ফলও ইতিবাচক। সংস্থার কর্তারা আশা রাখছেন মহাকাশযানে নিরাপদেই সুনীতাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, নাসা আগে জানিয়েছিল স্টারলাইনার ক্যাপসুল সর্বাধিক ৯০ দিন পর্যন্ত স্পেস স্টেশনে থাকতে পারে। ইতোমধ্যে পার হয়ে গেছে ৫০ দিন। সময় যতই ফুরাচ্ছে ততই বাড়ছে চিন্তা।