পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই দলের প্রধান ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশটি। শুধু তাই নয়, দুই সপ্তাহের মধ্যে ইমরান খানকে মুক্তি দিতে হবে, ইসলামাবাদের জনসমাবেশে পিটিআই-এর হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
খাইবার পাখতুনখোয়ার (কেপি) মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গন্ডাপুর পিটিআই-এর জনসভায় বলেন, যদি ইমরান খান মুক্তি না পান তাহলে পিটিআই-এর ‘বাগ?যুদ্ধ’ একটি ‘রক্তাক্ত সংগ্রাম’-এ পরিণত হতে পারে। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও রবিবার সন্ধ্যার দিকে ইসলামাবাদে পিটিআই-এর জনসভায় একটি বিশাল উপস্থিতি দেখা যায়। এদিকে রাজধানী পিটিআই-এর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে, পরে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে সাতজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের মতে, ইমরান খানের হাজার হাজার সমর্থক ইসলামাবাদের রাস্তায় জড়ো হয়েছিল।
এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্লোগান দিচ্ছিল। পিটিআই নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, এর আগে পুলিশ সমর্থকদের ভিড়ের ওপর গুলি চালিয়েছিল।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। পাকিস্তানের রাজনীতিতে অস্থিতিশীলতা ও অস্থিরতার সময় নতুন কিছু নয়। দুর্নীতির অভিযোগে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে তার সমর্থকরা দীর্ঘদিন ধরে তার মুক্তি দাবি করে আসছে এবং এর আগেও পিটিআই সমর্থকরা বহুবার বিক্ষোভ করেছে।
এদিকে পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলী খান জনসভায় ঘোষণা করেছেন, তাদের দল ইমরান খানের বিরুদ্ধে নতুন কোনো মামলা সহ্য করবে না। খানকে শিগগিরই মুক্তি দেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি উল্লেখ করেন, ইমরান খান একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং বলেন, ‘এটি ১৯৯০-এর দশক নয় যে কাউকে ‘মাইনাস’ করা যাবে।’
জনসভা আয়োজনের অনুমতি সত্ত্বেও রাজধানীতে পুরোপুরি ব্যারিকেড দিয়ে রাখায় এবং সভার স্থানে পৌঁছানোর সব রাস্তায় কনটেইনার দিয়ে বাধা দেওয়ায় তিনি স্থানীয় প্রশাসনের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, পিটিআইয়ের একটি সহিংসতার ইতিহাস রয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রী গন্ডাপুর জনসমাবেশের ব্যর্থতা বুঝতে পেরে ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করে পৌঁছেছেন।