সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের শুরু হয় ২০১১ সালে। এর পর এ পর্যন্ত অন্তত ৫ লাখ মানুষ মারা গেছেন। মূলত দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ তখন গণতন্ত্রপন্থিদের বিক্ষোভ দমনে ব্যাপক অভিযান শুরু করলে গৃহযুদ্ধের সূচনা হয়। তবে, ২০২০ সালের যুদ্ধবিরতির পর থেকে সংঘাত প্রায় বন্ধই ছিল। যদিও বিরোধী বাহিনীগুলো দেশটির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব শহর এবং ওই প্রদেশের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল।
আলেপ্পো শহর থেকে ইদলিবের দূরত্ব প্রায় ৫৫ কিলোমিটার। ২০১৬ সালে সরকারি বাহিনীর হাতে পতনের আগ পর্যন্ত এটি ছিল বিদ্রোহীদের একটি শক্ত ঘাঁটি। এবার জিহাদি গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামস (এইচটিএস) এবং এর কয়েকটি সহযোগী গ্রুপ আলেপ্পো আক্রমণে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এটি তুরস্ক সমর্থিত একটি গোষ্ঠী।
এইচটিএসকে আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নেওয়া সবচেয়ে কার্যকর বলে মনে করা হয়। তারা এর মধ্যেই ইদলিব নিয়ন্ত্রণ করছে। এক সময় আল কায়দার অংশ ছিল এইচটিএস নামক এই জঙ্গি সংগঠন। তুরস্কের মদদপুষ্ট এই সংগঠনই গত এক সপ্তাহ ধরে সিরিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে আরও কয়েকটি ছোট ছোট ইসলামি সংগঠন। তবে নেতৃত্ব দিচ্ছে এইচটিএস। গত শুক্রবার তারা সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো দখল করে নিয়েছে। আশপাশের একাধিক গ্রামও এখন তাদের দখলে। তাদের পরবর্তী লক্ষ্য হামা শহরটি দখলে নেওয়া।
লড়াইয়ের নতুন মুখ : একসময় আল কায়দার অংশ ছিল এইচটিএস। পরবর্তীকালে তারা আলাদা হয়ে যায়। ২০১৮ সালে আমেরিকা এই সংগঠনকে জঙ্গি সংগঠন বলে চিহ্নিত করে। সিরিয়ার উত্তর-পূর্ব অঞ্চল বিশেষ করে ইডলিব এলাকা এখন এইচটিএস-এর দখলে। প্রায় ৪০ লাখ উদ্বাস্তু সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ইদলিবে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।