পানিতে তলিয়ে গেছে ভারতের বাণিজ্য নগরী মুম্বাই ও সংলগ্ন এলাকা। গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড বৃষ্টিপাতের কারণে মুম্বাই ও থানের পার্শ্ববর্তী এলাকা লাল সতর্কতা এবং মহারাষ্ট্রের রায়গড়, রত্নগিরি ও সিন্ধুদুর্গ জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গতকাল ভোর থেকেই বজ্রপাতসহ ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে মুম্বাই কার্যত বিপর্যস্ত। শহরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে। বহু ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে গাড়ি ও ট্রেন চলাচল স্তব্ধ। রানওয়েতে পানি জমে যাওয়ার কারণে বিঘ্ন ঘটেছে বিমান চলাচলেও। এ ক্ষেত্রে অন্তত ২৫০টি বিমান চলাচলে প্রভাব পড়ে। দুই সপ্তাহ আগে উদ্বোধন হওয়া মুম্বাইয়ের ওরলির আচার্য আত্রে চক আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো স্টেশন কার্যত পুকুরের চেহারা নিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে পরিষেবা সাময়িক বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে মুম্বাই মেট্রো রেল করপোরেশন লিমিটেড (এমএমআরসিএল) কর্তৃপক্ষ।
আবহাওয়া দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মুম্বাইয়ে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে তা গত ১০৭ বছরের মে মাসের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
এমনকি গত ২৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম মুম্বাই শহরে নির্ধারিত সময়ের আগেই বর্ষা মৌসুমের আবির্ভাব হয়েছে। মুম্বাইয়ের কুরলা, সিয়ন, দাদর ও পারেলসহ বহু নিচু এলাকায় হাঁটুসমান পানি জমে রয়েছে। এর ফলে ওই সব রাস্তায় গাড়িগুলোকে খেলনার মতো ভাসতে দেখা গেছে।
অবিরাম বৃষ্টির কারণে মুম্বাইয়ের তিনটি প্রধান লাইন-সেন্ট্রাল, ওয়েস্টার্ন এবং হারবার থেকে চলাচলকারী সব ট্রেন দেরিতে চলাচল করে। গতকাল সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত মুম্বাইয়ের নরিমান পয়েন্ট ফায়ার স্টেশনে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। মাত্র এক ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১০৪ মিলিমিটার।
এদিকে ঝোড়ো বাতাসের কারণে বেশ কিছু জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। মুম্বাই শহরের পশ্চিমাঞ্চলে অন্তত পাঁচটি জায়গায় তিনটি গাছ ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। মুম্বাইয়ের পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটকের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতেও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।