রাশিয়া ও চীনের সম্পর্ক এখন ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। একই সঙ্গে অর্থনীতি থেকে শুরু করে কৌশলগত সমন্বয় পর্যন্ত দুই দেশের অংশীদার আরও গভীর হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। শনিবার রাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেন, রাশিয়া ও চীনের সম্পর্ক এখন ‘অভূতপূর্ব উচ্চতায়’ পৌঁছেছে। শনিবার চীনের সংবাদ সংস্থা সিনহুয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ২০২১ সালের পর থেকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে।
তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার এখন চীন। আর রাশিয়া গত বছরে চীনের পঞ্চম বৃহত্তম বৈদেশিক অংশীদার হয়েছে। তিনি আরও জানান, বাণিজ্য মূলত ডলারে হিসাব করা হলেও এখন প্রায় সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব জাতীয় মুদ্রায় লেনদেন হচ্ছে। ডলার ও ইউরোর অংশ নেমে এসেছে পরিসংখ্যানগত ভুলের স্তরে।
পুতিন উল্লেখ করেন, রাশিয়া এখনো চীনের শীর্ষ জ্বালানি সরবরাহকারী। ২০১৯ সালে চালু হওয়া ‘পাওয়ার অব সাইবেরিয়া’ পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ ইতোমধ্যেই ১০০ বিলিয়ন ঘনমিটার ছাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২৭ সালে পূর্বাঞ্চলীয় গ্যাস পাইপলাইন সম্পন্ন হলে চীনে গাড়ি রপ্তানি ও জ্বালানির চাহিদা পূরণে রাশিয়ার ভূমিকা আরও বাড়বে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে গভীর করবে। পুতিনের ভাষায়, ‘আমার আসন্ন সফরে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সহযোগিতা আরও বিস্তৃত করার বিষয়ে আলোচনা হবেই।’
শুধু অর্থনীতি নয়, কৌশলগত ক্ষেত্রেও রাশিয়া-চীনের সমন্বয়ের কথা তুলে ধরেন পুতিন। তার ভাষায়, এই সহযোগিতা ‘বিশ্ব রাজনীতির একটি প্রধান উপাদান’। জাতিসংঘ ও গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস ইন ডিফেন্স অব দ্য ইউএন চার্টারে দুই দেশের যৌথ কাজকে তিনি গ্লোবাল সাউথকে শক্তিশালী করার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উল্লেখ করেন।
প্রসঙ্গত, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে রবিবার চার দিনের সফরে দেশটির বন্দরনগরী তিয়ানজিনে পৌঁছেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তিনি প্রথমে তিয়ানজিনে গতকাল থেকে শুরু হওয়া সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। এরপর সেখান থেকে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ও জাপানের সামরিক পরাজয়ের ৮০তম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে মিলিটারি প্যারেড প্রত্যক্ষ করবেন।