ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি গ্রামবাসী, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা। নাবলুসের দক্ষিণে ফিলিস্তিনি বেইতা গ্রামের কাছাকাছি এলাকায় বসতি স্থাপনকারীদের একটি চৌকির কাছে স্থানীয় সময় শনিবার এ হামলার ঘটনা ঘটে। ফিলিস্তিনিরা সেখানে জলপাই সংগ্রহ করতে জড়ো হয়েছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানিয়েছে রয়টার্স। হামলাকারীরা লাঠিসোঁটা, ক্লাব ও বড় পাথর নিয়ে হামলে পড়ে। এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফার সুড়ঙ্গে আটকে থাকা যোদ্ধারা আত্মসমর্পণ করবে না বলে জানিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গত মাসে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হওয়ার পর রাফার ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে আটকা পড়েন তারা। এই যোদ্ধারা যেখানে আছেন সেসব স্থান এখন ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শনিবার হামাস রাফা থেকে লেফটেন্যান্ট হাদার গোল্ডিন নামে ২০১৪ সালে নিহত এক ইসরায়েলি সেনার লাশ খুঁজে বের করে। ইসরায়েলি সেনাপ্রধান ইয়াল জামির জানিয়েছিলেন, হামাস যদি গোল্ডিনের লাশ ফেরত দেয় তাহলে রাফাতে আটকে থাকা হামাস যোদ্ধাদের নিরাপদ প্রস্থান দেবেন তারা।
তবে এর আগে এসব হামাস যোদ্ধাকে ইসরায়েলের কাছে আত্মসমর্পণ এবং অস্ত্র জমা দিতে হবে। এরপর ইসরায়েল তাদের কথিত সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করবে।
এ শর্তের জেরে হামাসের সামরিক শাখা ইজ আল-দ্বীন আল-কাশেম ব্রিগেড গতকাল এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের যোদ্ধারা কোনোভাবেই আত্মসমর্পণ করবে না। আত্মসমর্পণ শব্দ তাদের অভিধানে নেই। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে হামাসের এসব যোদ্ধার সঙ্গে যদি ইসরায়েলি সেনাদের কোনো ধরনের সংঘর্ষ হয় তাহলে এর দায় দখলদারদের নিতে হবে।
বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ‘ইজ আল-দ্বীন আল-কাশেম ব্রিগেডের অভিধানে আত্মসমর্পণ বলে কিছু নেই। আমাদের নীতিতে আত্মসমর্পণ অথবা শত্রুর কাছে নিজেদের সমর্পণ বিষয়ক কিছু নেই। যুদ্ধবিরতি যেন অক্ষুণ্ন থাকে সেটি মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে।’
এদিকে লেফটেন্যান্ট হাদার গোল্ডিনের লাশ গতকাল স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করার কথা হামাসের। এরপরই জানা যাবে হামাসের এসব যোদ্ধার ভাগ্যে কী ঘটবে। সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল, রয়টার্স।