শিরোনাম
২ অক্টোবর, ২০২৪ ০২:০৩

একটি হাদিস পাঁচটি শিক্ষা

শরিফ আহমাদ

একটি হাদিস পাঁচটি শিক্ষা

প্রতীকী ছবি

আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের মধ্যে পরস্পর কিছু কিছু হক নির্ধারণ করে দিয়েছেন। যা আদায় করা সব মুসলমানের কর্তব্য। 

একটি হাদিসে পাঁচটি হক বর্ণিত হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলিমের ওপর অন্য মুসলিমের পাঁচটি হক আছে। এক. সালামের জবাব দেওয়া। দুই. দাওয়াতে সাড়া দেওয়া। তিন. জানাজায় উপস্থিত হওয়া। চার. রোগীর পরিচর্যা করা। পাঁচ. হাঁচি দানকারী যখন আলহামদু লিল্লাহ’ বলবে, তখন এর জবাবে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলা। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৪৩৫) 

উপরোক্ত পাঁচটি হক নিয়ে সংক্ষেপে কিছু আলোচনা করা হলো-

এক. সালামের জবাব দেওয়া

সালাম দেওয়া ইসলামী সভ্যতা সংস্কৃতি অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। এক মুসলিমের সঙ্গে আরেক মুসলিমের সাক্ষাতে প্রথম কাজ সালাম দেওয়া। সালাম দেওয়া সুন্নাত কিন্তু জবাব দেওয়া ওয়াজিব। তাই বিশুদ্ধ নিয়মে সালামের চর্চা সর্বত্র চালু হোক।

দুই. দাওয়াতে সাড়া দেওয়া

কোনো মুসলিম অপর মুসলিমকে দাওয়াত দিলে তাতে সাড়া দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এটা পরস্পর মুহাব্বাত সৃষ্টি করে। সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়ক হয়। তবে যদি দাওয়াতে আপত্তিকর কিছু থাকে অথবা দাওয়াতটা অবৈধ উপলক্ষে হয় তখন তা কবুল করা জরুরি নয়।

তিন. জানাজায় উপস্থিত হওয়া

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। হঠাত্ কোনো ভাইয়ের মৃত্যু হলে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করা ভ্রাতৃত্বের দাবি। কবর পথের যাত্রী ভাইয়ের  জানাজায় অংশগ্রহণ করে তার মাগফেরাত কামনা করা ইসলামের শিক্ষা। এর মাধ্যমে অফুরন্ত সওয়াব ও হাসিল হয়।

চার. রোগীর পরিচর্যা করা

জীবনের দীর্ঘ সফরে সুস্থতা-অসুস্থতা উভয়টি আল্লাহর দান। অসুস্থতা মুমিনদের জন্য নেয়ামত। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মুমিন বান্দাদের পরীক্ষা করেন। রোগী ব্যক্তির চিকিত্সা দেওয়া,সেবা করা ও তাকে দেখতে যাওয়া শরিয়তে একটি ইবাদত হিসেবে গণ্য। সুতরাং রোগীর প্রাথমিক চিকিত্সার জন্য প্রত্যেকটি পরিবার ক্লিনিক-হাসপাতালে রুপান্তরিত হোক।

পাঁচ. হাঁচি দানকারী যখন ‘আলহামদু লিল্লাহ’ বলবে তখন এর জবাবে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলা।

হাঁচি দেওয়া একটি নিয়ামত। এর দ্বারা আলস্য দূর হয়। তাই হাঁচিদাতা ‘আলহামদু লিল্লাহ’ বলে আল্লাহ তাআলার শোকর আদায় করে। তার শোকর আদায়ের ধ্বনি যারা শুনবে তাদের ওপর ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলা ওয়াজিব। 

হাঁচির জবাব দেওয়ার পদ্ধতি হলো- আবু আইয়ুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ হাঁচি দেয় সে যেন বলে, ‘আলহামদু লিল্লাহি আলা কুলি হাল’। আর যে এর জবাব দেবে সে যেন বলে, ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’। এরপর হাঁচিদাতা বলবে, ‘ইয়াহদী কুমুল্লাহ ওয়া ইউসলিহু বালাকুম’। (তিরমিজি, হাদিস : ২৭৪১)


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

সর্বশেষ খবর