প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করা পর বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ হল বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল (বিবিআইএন) মৈত্রী মোটর শোভাযাত্রা।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে এগারোটায় বেনাপোল-পেট্রাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে এই র্যালিটি। বুধবার সকালে কলকাতার প্রিন্সেপ ঘাটে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই র্যালির সমাপ্তি অনুষ্ঠানের ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য ভারত সরকারের ভুতল পরিবহন মন্ত্রালয়ের উদ্যোগে এবং ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ মেটর স্পোটর্স ক্লাবের সহযেগিতায় এই র্যালির আয়োজন করা হয়েছিল। গত ১৪ নভেম্বর ভুবনেশ্বরে ‘ফ্ল্যাগ অফ’ করা হয় র্যালির। যদিও বাস্তবে যাত্রা শুরু হয় ১৫ নভেম্বর। ভুবনেশ্বর থেকে যাত্রা শুরু করে রাঁচি-পাটনা-শিলিগুড়ি-গ্যাংটক-ফুয়েন্টশলিং-থিমপু-গুয়াহাটি, শিলচর-আগরতলা-চট্টগ্রাম-ঢাকা হয়ে কলকাতায় পৌঁছয় এই র্যালি। ২০ টি গাড়ির এই র্যালিতে চার দেশের ৮০ জন প্রতিনিধি ছিলেন, এর মধ্যে তিন নারীও ছিলেন।
বুধবার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি। র্যালিতে অংশ নেওয়া প্রত্যেক প্রতিনিধিদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন ‘যারা সাহসিকতার সঙ্গে ও সফলভাবে এই র্যালিটি শেষ করেছেন তাদের সবাইকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই’।
কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন সচিব বিজয় ছিব্বর জানিয়েছেন ‘বিবিআইএন মৈত্রী মোটর শোভাযাত্রা অংশগ্রহণকারী চার দলের মধ্যে সম্পর্কের বাঁধন আরও শক্ত করবে। আমি আনন্দিত যে এই উদ্যোগটা খুব ভাল ভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। যারা এই র্যালিকে সফল করেছেন সেইসব অংশগ্রহণকারী সদস্য এবং উদ্যোক্তাদের আধি সাধুবাদ জানাই’।
র্যালিতে অংশগ্রহণকারী ভুবনেশ্বরের নারী সদস্য তামান্না দেউরি জানিয়েছেন ‘এটাই আমার প্রথম র্যালি ছিল। এটা সত্যিই আমার কাছে অত্যন্ত চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা, আমি এটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। ভাল রাস্তার ওপর দিয়েও যেমন গাড়ি চালাতে হয়েছিল তেমনি অত্যন্ত খারাপ রাস্তাও ছিল, আবার এমন কিছু জায়গায় কোন রাস্তাই ছিল না’।
২০১৫ সালের জুনে থিম্পুতে বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল চারদেশের যোগাযোগ মন্ত্রালয়ের মধ্যে ব্যক্তিগত কার ও পণ্যবাহী কার চলাচলের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই চুক্তি বাস্তাবায়নের লক্ষ্যেই চারদেশের প্রতিনিধিদের এই মৈত্রী মোটর শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ০২ ডিসেম্বর ১৫/ সালাহ উদ্দীন