ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এবার এক বাংলাদেশি এক নারীর মৃত্যু হল কলকাতায়। মৃত সেই নারীর নাম লক্ষী ঘোষ (৩৮)। তার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার নারায়ণগড়ের শ্যামনগর এলাকায়।
জানা গেছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর এক বছরের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশের ঢাকা থেকে কলকাতায় আসেন লক্ষী ঘোষ। এরপর এয়ারপোর্টের কাছে লেকটাউনে এক আত্মীয়ের বাসায় ওঠেন তিনি। সেখানেই গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ বোধ করেন তিনি। এরপর স্থানীয় এক চিকিৎসককে দেখান লক্ষী দেবী। চিকিৎসকের পরামর্শে গত বুধবার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তাঁর রক্ত পরীক্ষা করান হয়। বৃহস্পতিবার সেই রক্তের রিপোর্টে ডেঙ্গুর জীবানুর উল্লেখ করা হয়।
সেখানে দেখা যায় তাঁর রক্তে প্লেললেট কাউন্ট’এর পরিমাণ ১.৩৫ লাখ (যা স্বাভাবিকের চেয়ে কম)। এরপরই তার পরিবারের লোকেরা আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। একমুহুর্ত দেরী না করে তাঁকে প্রথমে বাগুইহাটির স্থানীয় একটি বেসরকারি নাসির্ং হোমে ভর্তির জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু সেখান থেকে তাকে ভর্তি না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করে তার পরিবার। এরপর লক্ষী দেবীকে নিয়ে যাওয়া আরেকটি হাসপাতালে।
সেখানেও ওই রোগীকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করলে বৃহস্পতিবার রাতের দিকে কলকাতার বেলেঘাটার ইনফেকশাস ডিজিজ (আইডি) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে। কিন্তু শুক্রবার সকালের দিকে হঠাৎ করেই তার শারিরীক অবস্থতার অবনতি হতে থাকে। অবশেষে সন্ধ্যার দিকে মৃত্যু হয় লক্ষী দেবীর। বিদেশে বেড়াতে এসে এরকম এক মৃত্যুত্যে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা। সেক্ষেত্রে এই প্রথম কোন বাংলাদেশির মৃত্যু হল কলকাতায়।
যদিও আইডি হাসপাতাল থেকে লক্ষী দেবীকে দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসাবে ডেঙ্গুর কথাটি উল্লেখ করা হয়নি। সেখানে মৃত্যুর কারণ হিসাবে ‘মাল্টি অর্গান ফেলিওর’ দেখানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর