ভারত জুড়ে গরুর মাংস বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপিকে তোপ দেগে শুক্রবার বিকালে রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি নেতাদের সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে মমতা বলেন ‘বিজেপির কয়েকজন নেতা দলিতদের বাসায় গিয়ে দাওয়াত খেয়ে আসছেন, আমি তাদের বলতে চাই যে উপজাতিদের (গরুর মাংস খাওয়া) এটা চিরদিনের খাদ্যাভাষ। কিন্তু বিজেপির নেতারা কি উত্তরপূর্ব ভারতে গিয়ে এই খাওয়ার অভ্যাস বন্ধ করতে পারবে?’
মমতা বলেন ‘অনেক খ্রিষ্টানরাও এটা খায়। কিন্তু আমি খাই না, এমনকি পাঁঠার মাংসও খাই না। কিন্তু আমি না খেলেও আরেক জন মানুষ কি খাবে বা না খাবে-সেটা বলার কোন অধিকার আমার নেই। আগামীকাল যদি কেউ প্রশ্ন করে মাছ কেন কাটবে? আলু কেন কাটবে? তখন?
মমতার অভিমত ‘আলু, পটল কুমড়ো-যাই হোক না কেন-তোমার যেটা ভাল লাগবে না সেটা অন্যের ওপর চাপিয়ে দেবে-এটা ঠিক হচ্ছে না। প্রত্যেক মানুষেরই একটা নিজস্ব অধিকার আছে। ধর্মটা যার যার নিজের নিজের, কিন্তু উৎসব আমাদের সকলের।’
স্বৈরাচারী ব্যবস্থার মধ্যে গোটা ভারতের মানুষকে বসবাস করতে হচ্ছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন মমতা।
তিনি বলেন ‘আজকে গোটা দেশে স্বৈরাচারী ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে আমাদের যেতে হচ্ছে। বিজেপি পার্টি ঠিক করে দিচ্ছে যে, কার বাসায় কোন এজেন্সি গিয়ে হুমকি দেবে। কোন টেলিভিশন চ্যানেলকে বন্ধ করতে হবে, কোন টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকের বাসায় গিয়ে অভিযান চালাতে হবে। কোন পত্রিকার সাংবাদিকদের চাকরি খেতে হবে...অন্যায়ের শেষ নেই।’ মমতার অভিমত ‘এরা (বিজেপি) যেটা করছে তা কোনদিনও দেশে হয়নি। প্রকৃত গণতন্ত্র থাকলে এইসব জিনিস হয় না।’
পশ্চিমবঙ্গের বদনাম করার জন্য বিজেপি, সিপিআইএম, কংগ্রেস পরিকল্পিত ভাবে চক্রান্ত করছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন মমতা। তার বিশ্বাস মানুষই এর জবাব দেবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন