পশ্চিমবঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েত-এর বোর্ড গঠন নিয়ে রাজ্যটির শাসক দল তৃণমূল এবং বিরোধী দলগুলির মধ্যে সংষর্ষে নিহত হয়েছে কমপক্ষে তিন জন। এছাড়া আহত হয়েছে একাধিক। গত ২৪ আগষ্ট ত্রিস্তরীয় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পর্কিত একটি রায় ঘোষণার পরই সোমবার সকাল থেকে রাজ্যের একাধিক জেলায় পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। আর সময় যত গড়িয়েছে ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। কোথাও রাজ্যটির ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষ আবার কোথাও বিরোধী দলের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা।
পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে রাজ্যটির মালদহ জেলার মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলেরই দুইটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে সালাম শেখ ও আজহার শেখ নামে দুইজন। তাদের দুইজনেরই বোমার আঘাতে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া আহত হয়েছে তিন বছর বয়সী শিশু জিশান শেখ। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় মালদা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অন্যদিকে তৃণমূলের হামলায় পুরুলিয়া জেলার ঘাঘরাতে নিরঞ্জন গোপ নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তি তাদের কর্মী বলে দাবি করেছে বিজেপি। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন এক পুলিশ কর্মীও। তাঁর শরীর লক্ষ্য করে ইঁট ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এছাড়াও রঘুনাথপুর- ১ ও ২, জয়পুর সহ একাধিক জায়গায় বোমাবাজি, গুলি চালানোর মতো অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়াও হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, উত্তর দিনাজপুর, নদীয়াসহ একাধিক জেলায় বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়।
পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের একাধিক জেলায় সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন ‘রাজ্যের বিভিন্ন কোণায় সমস্যা সৃষ্টির খবর আমি শুনেছি। আমি প্রশাসন ও পুলিশকে কঠোর হাতে মোকাবিলা করার নির্দেশ দিয়েছি। একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে পুলিশ সদস্যেরকে টার্গেট করেছে। আমাদের এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আমরা কোন মতেই এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করবো না।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল