বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০১৪ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

৩৬ বছর মাতৃগর্ভে ছিল ভ্রূণ

প্রায় ৩৬ বছর ধরে মাতৃগর্ভে ছিল ভ্রূণ। অবশেষে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গর্ভ থেকে জন্ম না হওয়া ওই শিশুর কঙ্কাল বের করলেন চিকিৎসকরা। ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পিপারিয়া গ্রামের। ওই নারীর নাম কান্তাবাই গুণবন্ত ঠাকরে। বর্তমানে তার বয়স ৬০।

কান্তাবাই তার ২৪ বছর বয়সে ১৯৭৮-এ গর্ভবতী হয়েছিলেন। সঠিক স্থানে জন্ম না হওয়া ভ্রূণটি (একটোপিক এমব্রায়ো) এতদিন কান্তাবাইয়ের গর্ভেই ছিল। এত বছর ধরে মাতৃগর্ভে ভ্রূণ থাকার নজির সম্ভবত আর নেই। কান্তাবাই গত সপ্তাহে এন কে পি সালভে ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সের আউটডোরে আসেন। গত দুই মাস ধরে তার তলপেটে তীব্র ব্যথা হচ্ছিল।

'প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা মনে করেছিলেন, তার তলপেটের ডান দিকে একটি মাংসপিণ্ড রয়েছে। চিকিৎসকরা প্রথমে ক্যান্সার বলে আশঙ্কা করেন। সোনোগ্রাফিতে মাংসপিণ্ড থাকার ব্যাপারটি সুনিশ্চিত হয়। এরপর এমআরআই করে চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন, ওই মাংসপিণ্ড আসলে একটি শিশুর হাড়গোড়। চিকিৎসকরা এবার চিকিৎসা শাস্ত্র থেকে এই ধরনের ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর করেন।

এরপর তারা জানতে পারেন, বেলজিয়ামের এক নারীর একটোপিক গর্ভাবস্থা প্রায় ১৮ বছর স্থায়ী হয়েছিল। সেই রেকর্ড ভাঙলেন কান্তাবাই। ১৯৭৮ সালে গর্ভবতী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গর্ভাশয়ের বাইরেই ছিল ভ্রূণ। এরপর তার গর্ভপাত হয়েছিল। কান্তাবাই চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, গ্রামের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কয়েক মাস চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে যান। কিন্তু ভুল চিকিৎসা এবং ডাক্তারের গাফিলতির জন্য সঠিকভাবে এই শিশু ভ্রূণটিকে শনাক্ত করা যায়নি। অবশেষে গত ১৪ আগস্ট ৪ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর তার গর্ভাশয় থেকে মৃত ভ্রূণের হাড়গোড় বের করলেন চিকিৎসকরা।

সর্বশেষ খবর