বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

কুতুবদিয়ায় হচ্ছে গভীর সমুদ্রবন্দর

সহযোগিতার আশ্বাস বিশ্বব্যাংকের

এবার কুতুবদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনার দক্ষতা ও কার্গো হ্যান্ডেলিং ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এ দুই প্রকল্পেই সহযোগিতা করতে আশ্বাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। গতকাল দুপুরে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর জোহানেস জাট ও পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠক শেষ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকার কুতুবদিয়ায় একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করতে আগ্রহী। এক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক তাদের প্রস্তাব নিয়ে আসতে পারে। যেহেতু গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি একটু সময়সাপেক্ষ সেক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক তাৎক্ষণিকভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এখন জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনার দক্ষতা ও কার্গো হ্যান্ডেলিং
দক্ষতা আরও বৃদ্ধির জন্য সরকার বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা আশা করছে। দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির জন্যই এটি দরকার বলেও মনে করেন মন্ত্রী।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর সরকারের এ প্রস্তাবকে ইতিবাচক আখ্যায়িত করে বলেন, বিশ্বব্যাংক চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে আগ্রহী। কুতুবদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে বিশ্বব্যাংক প্রথমে সম্ভাব্যতা যাচাই করবে এরপর সরকারকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেবে। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর জোহানেস জাট জানান, বিশ্বব্যাংক চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনার দক্ষতা ও কার্গো হ্যান্ডেলিং দক্ষতা বৃদ্ধিতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদানে আগ্রহী। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে তাদের চলমান বিভিন্ন প্রকল্পে ২.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখবে। ভবিষ্যতে এ সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আশা করছি। পরিকল্পনামন্ত্রী চট্টগ্রাম বন্দরের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং-এ বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চেয়ে বলেন, বাংলাদেশে জিডিপি বর্তমানে ৬ শতাংশের উপরে। অচিরেই এ হার ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। তখন চট্টগ্রাম বন্দরের কার্গো হ্যান্ডেলিং দক্ষতা বৃদ্ধি করা না গেলে দেশের অর্থনীতি সমস্যায় পড়ে যাবে। কাজেই বিশ্বব্যাংক চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনা ও কার্গো হ্যান্ডেলিং দক্ষতা বৃদ্ধিতে এখনই আমাদের সাহায্য করতে পারে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলেও জানান মন্ত্রী। বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ইকনমিষ্ট ইফ্ফাত শরীফ বলেন, সরকার সামাজিক নিরাপত্তার অনেকগুলো খাতে সফলতা দেখালেও পুষ্টি খাতে সরকারের আরও কার্যকর ভূমিকা দরকার। বিশ্বব্যাংক পুষ্টি খাতে সহায়তা দিতে নতুন প্রকল্প নিয়ে আসছে।

সর্বশেষ খবর