সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

উচ্চ ফলনশীল ধান উদ্ভাবন

চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ, হবিগঞ্জ

উচ্চ ফলনশীল ধান উদ্ভাবন

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) আঞ্চলিক কার‌্যালয় হবিগঞ্জ থেকে ২টি উচ্চ ফলনশীল নতুন ধান উদ্ভাবন করা হয়েছে। ব্রি হবিগঞ্জ নাগুড়া কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা প্রধান ড. এ এস এম মাসুদুজ্জামানের নেতৃত্বে এক দল বিজ্ঞানী ৭ বছর প্রচেষ্টা চালিয়ে এ নতুন জাতের ধান ২টি উদ্ভাবন করেন। এর একটি আমন মৌসুমের জন্য। অন্যটি জলি ধানের- যা হাওর এলাকায় গভীর পানির মধ্যে বেঁচে থাকার উপযোগী। ব্রি আঞ্চলিক কার‌্যালয়, হবিগঞ্জ থেকে অতি উচ্চ ফলনশীল বিআর ৯৩৯২-৬-২-১বি একটি কৌলিক সারিটি উদ্ভাবন করা হয়েছে। সারিটির উদ্ভাবক ড. মাসুদুজ্জামান জানান-এই সারিটি আমন মৌসুমের বিআর ১১ এর চেয়ে উন্নত। নতুন এ ধানের সারিটির প্রতি গোছায় কার্যকরী কুশির সংখ্যা ১৩-১৪টি এবং প্রতি ছড়ায় পুষ্ট ধানের  সংখ্যা ২৫০-৩০০টি হয়ে থাকে। প্রতিটি ছড়াতে ধানের সংখ্যা প্রচলিত জাতের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। জাতটি অবমুক্ত করা হলে আমন মৌসুমে ধানের উৎপাদন আরও বেশি হবে বলে আশা করা যায়। অন্যদিকে, হাওড় এলাকায় বর্ষা মৌসুমে জলি আমন ধানের প্রায় ১.৫ মিলিয়ন হেক্টর জমি পতিত থাকে। অপেক্ষাকৃত কম উচ্চতার আমন ধানের জাতগুলো নিচু হাওড় এলাকায় চাষাবাদের উপযোগী নয়। হাওড় এলাকার উপযোগী জলি আমন ধানের কৌলিক সারিটি হচ্ছে-বিআর৯৮৯২-৬-২-২বি। কৌলিক সারিটির মধ্যে আধুনিক ধানের সব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান-পাতা গাঢ় সবুজ ও খাড়া-গাছের উচ্চতা ১.৭ মিটার। তাই অধিক উচ্চতায় এই সারিটি জলি আমন মৌসুমে গভীর পানির মধ্যে টিকে থাকে এবং হেক্টর প্রতি প্রায় ৫ টন ফলন দিতে সক্ষম। এই ধানের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- এই সারিটির কাণ্ড ও গোড়া শক্ত, ফলে গাছ লম্বা হলেও প্রবল বাতাসে অন্যান্য স্থানীয় জাতের ন্যায়  এটি হেলে পড়ে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর