বছরে কোটি টাকার বেশি আয় করেন— এমন সাতজন এবার পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জনই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। গতকাল সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার প্রতিবেদন সম্পর্কে বলেন, এতে দেখা যাচ্ছে ধনাঢ্যরা পৌরসভাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা করায়ত্ত করছেন। তিনি উল্লেখ করেন, অতীত-বর্তমান ও উভয় সময় বিবেচনায় আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত মেয়রদের তুলনায় বিএনপি থেকে নির্বাচিত মেয়রদের মামলা বেশি। আর আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত মেয়রদের মামলা কম হলেও অতীতে তাদের বিরুদ্ধে অনেক বেশি মামলা ছিল।
সুজনের প্রতিবেদনে বলা হয়, আইন অনুযায়ী পৌরসভার মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া একটি ইতিবাচক দিক। বড় দুটি দল ছাড়াও নির্বাচনে অনেকগুলো দল অংশ নিয়েছে। তবে নির্বাচনটি হয়েছে ত্রুটিপূর্ণ ও অসমাপ্ত ভোটার তালিকা দিয়ে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গ্রেফতার ভয়ভীতি ও বিভিন্ন ধরনের চাপের কারণে যারা প্রার্থী হতে আগ্রহী ছিলেন— তাদের অনেকেই প্রার্থী হতে পারেননি। মেয়র পদে গড় প্রার্থীর সংখ্যা ছিল পৌরসভা প্রতি ৪ দশমিক ০৩ জন, যেখানে আগের নির্বাচনে ছিল ৫ দশমিক ১১ জন। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সার্বিক বিবেচনায় পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু বলা যাবে না। তিনি জানান, এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া প্রার্থীর হলফনামা থেকে। তাই এর সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন আছে। এজন্য হলফনামাগুলো যাচাই ও অনুসন্ধানের প্রয়োজন। এ অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।