বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা
পাকিস্তান দূতাবাস ঘেরাও

‘হত্যাকাণ্ডে জড়িত আইএসআই-মোসাদ’

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাকিস্তান ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা এখনো মেনে নিতে পারেনি। সম্প্রতি দেশে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পাকিস্তানের আইএসআই ও ইসরায়েলের মোসাদ জড়িত। তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা যড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যত ষড়যন্ত্র হোক না কেন সমুচিত জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম। গতকাল সকালে রাজধানীর গুলশান-২ নম্বর চত্বরে পাকিস্তান দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাধা এবং সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলো একই সূত্রে গাথা। পাকিস্তান এবং ইসরায়েল একে অপরের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে যড়যন্ত্র করছে। নিরীহ মানুষ হত্যা করছে। তার প্রতিবাদ জানাতেই পাকিস্তান দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি। মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচি পালনে সকাল থেকে সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা গুলশান-২ নম্বর চত্বরে জড়ো হয়। একপর্যায়ে তারা পাকিস্তান দূতাবাসের দিকে যেতে চাইলে বসতি টাওয়ারের সামনে পুলিশ বাধা দেয়। সেখানেই তারা সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেন। এ সময় গুলশান-২ নম্বর থেকে পাকিস্তান দূতাবাস পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহ এমপি বলেন, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য পাকিস্তান ও ইসরায়েল ষড়যন্ত্র করছে। নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর তারা বিবৃতি দিয়েছে, যুদ্ধাপরাধ বিচারে নাক গলাচ্ছে, এখন দেশের এসব হত্যাকাণ্ডের পেছনেও তারা ইন্ধন জোগাচ্ছে। পুলিশের গুলশান বিভাগের ডিসি মোস্তাক আহমেদ খান বলেন, সকালে কয়েকটি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গুলশান-২ নম্বর চত্বরে জড়ো হয়। তারা ঘেরাওয়ের উদ্দেশে পাকিস্তান দূতাবাসের দিকে যেতে চাইলে ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর