শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিআরটিএ কর্মকর্তারাও দুর্নীতিতে জড়িত

— ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিআরটিএ দুর্নীতিমুক্ত না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিআরটিএ নানা অগ্রগতির কথা শোনাচ্ছে। কিন্ত জনগণ তো এসব অগ্রগতি থেকে কোনো প্রকার লাভবান হচ্ছে না। বরং মানুষ সেবা নিতে এসে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তিনি বলেন, দালালমুক্ত, হয়রানিমুক্ত বিআরটিএ গড়ে তুলতে হবে। শুধু দালাল নয়, দুর্নীতির সঙ্গে বিআরটিএর কর্মকর্তারাও জড়িত। গতকাল সকালে রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ পরিচালিত সার্বিক কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, মানুষের প্রতি কোনো দায় নিয়ে কাজ করছে না এখানকার কর্মকর্তারা। আমরা অভিযানে গেলে সব পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। বিআরটিএ অফিস দালালমুক্ত হচ্ছে। কিন্তু অভিযান থেকে চলে এলেই আবার দালালদের খপ্পরে পড়ছে গ্রাহকরা। দালালরা বিআরটিএর চেয়ার-টেবিল পর্যন্ত ব্যবহার করছে। কর্মকর্তাদের যোগসাজশ না থাকলে এমন হতে পারে না।

বিআরটিএর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে চামারের মতো ব্যবহার করে গ্রাহকের সঙ্গে। গ্রাহক হিসেবে অনেক ভদ্রলোক যায়, ভালো মানুষ যায়। অনেক অফিসার আছে তাদের আচরণ ভালো নয়, তাদের আচরণ ঠিক করে শুদ্ধাচারে আসতে হবে, খারাপ আচরণ থেকে বিরত থাকতে হবে। তিনি বলেন, রাস্তা দখলমুক্ত করা, অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করা, নসিমন-করিমন তৈরির অবৈধ কারখানা বন্ধ করা হলেও কয়েক দিন পর তা আবার আগের মতো হয়ে যায়। জনগণের উপকার না হওয়ায় কষ্ট পণ্ডশ্রম হয়ে যায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এক মোটরসাইকেলে দুজনের বেশি উঠবে না এবং অবশ্যই হেলমেট থাকতে হবে। যে কোনো অবস্থায় এটি বাধ্যতামূলক করতে হবে। এখানে কোনো কম্প্রোমাইজ করা যাবে না। এ ব্যাপারে আগে থেকেই নির্দেশনা রয়েছে। আর একটি বিষয় অ্যাড করতে চাই, মোটরসাইকেলে কোনো অবস্থায় শিশুদের সহযাত্রী করা যাবে না। পৃথিবীর কোনো দেশে মোটরসাইকেলে শিশুরা আরোহী হয় না, এখানে পুরো পরিবার নিয়ে মোটরসাইকেলে ওঠে। এটি খুবই বিপজ্জনক, এ ক্ষেত্রে শূন্য সহনশীলতা দেখাতে হবে, কারণ বিষয়টা ঝুঁকিপূর্ণ। সারা দেশে বিষয়টা কঠোরভাবে দেখতে হবে। সভায় বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর