রিজার্ভ চুরি ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়নের খবরে বাংলাদেশ ব্যাংকে বিরাজ করছে অস্থিরতা। দায়ী ছয় কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুতির সুপারিশ খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিধিতে মামলাও করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমন খবর এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুখে। শুধু তাই নয়, এ ঘটনার পর যাদের বাধ্যতামূলক অবসর বা অপসারণ করা হয়েছে তাদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। এদিকে ডিলিং রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ১১ জন কর্মকর্তা স্বেচ্ছা অবসরের জন্য মৌখিক আবেদন করেছেন গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, তারা গত বুধবার গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে বদলির অনুরোধ করেছেন। তারা বলেছেন, আতঙ্কের কারণে তারা কাজ করতে পারছেন না। ডিলিং রুমের বাইরে যে কোনো বিভাগ বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্য কোনো শাখায় তাদের বদলি করা হলে কাজের গতি বাড়বে। দফায় দফায় পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা, সিআইডি, এফবিআইর জিজ্ঞাসাবাদে ব্যক্তিগতভাবে তারা মানসিকভাবে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন বলে গভর্নরকে জানিয়েছেন। অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের একাধিক কর্মকর্তাও স্বেচ্ছা বদলির মৌখিক আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে। তাদের দাবি, অন্য কোনো বিভাগে তাদের বদলি করা হলে মানসিকভাবে শক্তি বৃদ্ধি পাবে। এতে তাদের মাঝে কাজের গতি বাড়বে। এ ছাড়া তদন্ত প্রতিবেদনে যাদের নাম এসেছে তাদের সঙ্গে ব্যাংকের অন্য কর্মকর্তারা স্বাভাবিক আচরণ করছেন না। কাজের ক্ষেত্রে তাদের অনেকেই প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছেন না বলে তাদের অভিযোগ। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের তদন্ত প্রতিবেদনে যে ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে, তারাও স্বেচ্ছা অবসরের ব্যাপারে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন গভর্নরকে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে নিম্ন থেকে শীর্ষ পর্যায়ে শুদ্ধি অভিযানের নির্দেশনা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগকে অন্য বিভাগ থেকে পৃথক করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যে কোনো সময়ই তার এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় যাদের দায়ী করা হয়েছে তাদের প্রতি গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। যারা স্বেচ্ছা অবসরের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তাদের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রশাসন বিভাগকে খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে। তাদের ব্যক্তিগত ফাইল এবং কর্মজীবনের বৃত্তান্তও জানতে চেয়েছেন গভর্নর। আর স্বেচ্ছা বদলির ব্যাপারে তিনি বলেছেন, এটা তার একক সিদ্ধান্ত নয়। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হলে প্রয়োজনে পরিচালনা পর্ষদ এবং প্রশাসন বিভাগের পরামর্শও নেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন। ২০ জুন তার দেশে ফেরার কথা। তিনি দেশে ফেরার পর ফরাসউদ্দিনের তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়নের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতার উন্নয়ন, কাঠামোগত পরিবর্তন, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, ডিলিং রুমের কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে খুব শিগগিরই। পাশাপাশি চুরি হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে ফিলিপাইন ও ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোরও নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
শিরোনাম
- সোমবার সারা দেশে যানবাহন চলবে : পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন
- ব্রিতে নবান্ন উৎসব উদযাপিত
- বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
- নবীনগরে কার্যত্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার
- একযুগের বেশি পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষকদের কর্মবিরতি
- আর্মি অর্ডন্যান্স কোরের ৪৫তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- বিইউবিটিতে ‘জব হান্টিং ২.০’ শীর্ষক সেশন অনুষ্ঠিত
- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য করণীয় সব কিছুই করছে ইসি : আনোয়ারুল
- ‘দেশের মানুষ মনে করে হাসিনাকে আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দেবেন’
- সাবেক মন্ত্রী মায়া ও তার স্ত্রীর নামে দুদকের দুই মামলা
- ফ্যাসিবাদী শক্তি মোকাবিলায় জনগণ সক্রিয় থাকবে : আমানউল্লাহ
- কুয়েতে হোমনা প্রবাসীদের মিলনমেলা ও পিঠা উৎসব
- বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা
- ইথিওপিয়ায় প্রথমবারের মতো মারাত্মক মারবার্গ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব
- চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষক সংকটে বিঘ্নিত গুণগত শিক্ষা
- স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি
- রূপগঞ্জের গোলাম ফারুক খোকন বিএসটিএমপিআইএ'র সভাপতি
- ২০২৬ সালে ব্যাংকের ছুটির তালিকা প্রকাশ
- আশরাফুল হত্যা: ফাঁসির দাবিতে উত্তাল গোপালপুর
- ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা