ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়

ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) দক্ষিণ এশীয় ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ফেস্ট আয়োজনে গতকাল ছিল উপচেপড়া ভিড়। সপ্তাহের শেষ দিনে পছন্দের পোশাক ও ফ্যাশনসামগ্রী কিনতে রাজধানীর ফ্যাশনপ্রিয় মানুষেরা মুখর করে রেখেছিলেন পুরো কনভেশন সিটি চত্বর। দেশ-বিদেশের বিখ্যাত ফ্যাশন হাউস ও ফ্যাশন উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া এ ফেস্ট চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। আকর্ষণীয় পণ্য কেনার পাশাপাশি ক্রেতারা এই আন্তর্জাতিক মেলায় সেলিব্রেটি এবং ফ্যাশন আইকনের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সেলফি তোলায় মেতে উঠেছিলেন। ভারত, থাইল্যান্ড, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশের ফ্যাশন পণ্য এ ফেস্টে বিক্রি হচ্ছে। এতে ৫০টি প্রতিষ্ঠান ও ফ্যাশন হাউসের পণ্য প্রদর্শন হচ্ছে। সেন্টারে ঢুকে হাতের ডানেই প্রথম স্টলে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় নজরকাড়া সব পণ্য। হাতের কাজ করা এক্সক্লুসিভ বেশকিছু থ্রি-পিস, সোফা ও বেডের পিলোকভার, বিছানার চাদর, টেবিল ম্যাট ইত্যাদি এখানে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, জরি, পুঁতি, সিকোয়েন্স ও পাথর বসানো পণ্যগুলো ভারতের দিল্লি থেকে আনা হয়েছে। ভারী কাজের এক একটি পিলোকাভারের দাম ৫০০ টাকা। ক্রেতাদের অনেকেই আগ্রহ নিয়ে এ পণ্যগুলো কিনছেন। এ ছাড়া ফ্যাশন ফেস্টে পাকিস্তানের অ্যামব্রয়ডারি কাজের সিঙ্গেল সালোয়ার-কামিজও তরুণীদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে আসা আফিয়া আক্তার ও তার কলেজপড়ুয়া মেয়ে টুম্পা নেট কাপড়ে তৈরি গর্জিয়াস সিঙ্গেল কামিজ দেখছিলেন। এর দাম ৪ হাজার ৫০০ টাকা। আফিয়া এই প্রতিবেদককে বলেন, মেয়ের বায়না পূরণ করতে এখানে এসেছি। শুনেছি এখানে সেলিব্রেটিদের সঙ্গে সেলফি তোলা ও কথা বলার সুযোগও আছে। তিনি জানান, বেশকিছু ভারতীয় ও পাকিস্তানি পণ্য তাদের পছন্দ হয়েছে। থাইল্যান্ডের স্টলে মেয়েদের বিভিন্ন কসমেটিক আইটেমের সঙ্গে ছেলেদের জন্য থাই টি-শার্টও বিক্রি হচ্ছে। এ স্টলের একজন বিক্রয়কর্মী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা বাণিজ্যমেলাসহ বিভিন্ন সময় ঢাকার ফাইভ স্টার হোটেলগুলোয় অনুষ্ঠিত মেলায় নিয়মিত অংশ নিই। এবার প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার আয়োজনে অংশ নিয়েছি। মেলায় এবার ক্রেতা-দর্শকসমাগম ভালো হবে বলে আমরা আশাবাদী। লাইফস্টল ফেস্টে ভারতীয় কলাপুরি স্যান্ডেলের স্টলে বেশি ছিল কিশোরী-তরুণীর ভিড়। বিভিন্ন ডিজাইনের এ স্যান্ডেলগুলোয় চুমকি, ঝুনঝুনি, পুঁতি, স্টোন বসানোয় এর চাহিদাও ভালো। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৮০০ থেকে শুরু করে ১৫০০ টাকায় এগুলো বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও আছে ইলেকট্রনিক পণ্যের স্টল। আরআরএম ইলেকট্রনিক্স ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের স্টলে কফি মেকার, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, রাইস কুকারসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ শহিদুল ইসলাম জানান, তারা চীন থেকে তাদের পণ্য সরাসরি নিয়ে এসে বাংলাদেশে বিক্রি করছেন। মেলায় আসা দর্শকদের জন্য আরও আছে বিখ্যাত রোস্টেড কফি বিন পাউডার, হারবাল প্রসাধনী ইত্যাদি। এর বাইরে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ফার্নিচারের দোকানও এ আয়োজনে অংশ নিয়েছে। এতে সোফা, টেবিল লাইট, দেয়ালে সাজানো ছবি, আলমারি, ড্রেসিং টেবিল ইত্যাদি বিক্রি করা হচ্ছে।