বুধবার, ১০ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

হামলার ৫ দিন আগে থেকে কিশোরগঞ্জে ছিল তামিম

জঙ্গি হামলা

সাখাওয়াত কাওসার

শোলাকিয়ায় হামলার পাঁচ দিন আগে থেকেই কিশোরগঞ্জে অবস্থান করছিলেন মাস্টারমাইন্ড কানাডার নাগরিক তামিম আহমেদ চৌধুরী। শুধু তাই নয়, শোলাকিয়া এবং গুলশান হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার সময়ও খুব কাছে থেকে তামিম সমন্বয় করছিলেন এমন তথ্য এসেছে গোয়েন্দাদের কাছে। অন্যদিকে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলায় সন্দেহজনক হিসেবে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার তাহমিদ হাসিব খান দাবি করেছেন, জঙ্গিরা তার হাতে জোর করেই পিস্তল তুলে দিয়েছিল। প্রাণ রক্ষার্থে তিনি অস্ত্র নিয়েছিলেন। তবে ওই অস্ত্রে গুলি ছিল না। আট দিনের রিমান্ডের চতুর্থ দিনে তদন্তসংশ্লিষ্টদের কাছে এমন দাবি করেছেন তিনি। জানা গেছে, বহুল আলোচিত হলি আর্টিজানের ঘটনায় ইতিমধ্যে ৩১ জনের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা। এদের মধ্যে আটজন আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। আটজনের একজন ছিলেন ভারতীয়।

গোয়েন্দারা বলছেন, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া হামলার পাঁচ দিন আগে থেকে ওই এলাকার একটি ভাড়া বাসায় অবস্থান করছিলেন তামিম। হামলার সময় তিনি ঘটনাস্থলের পাশেই ছিলেন। হামলার কিছু সময়ের মধ্যেই তিনি সটকে পড়েন। তামিমকে জঙ্গিরা ‘স্যার’ সম্বোধন করে। শোলাকিয়া হামলায় আকাশ নামে এক জঙ্গির দায়িত্ব ছিল মাস্টার, আবির ও শফিউলকে কিশোরগঞ্জে নিয়ে আসার। এরা সবাই বগুড়া এবং উত্তরাঞ্চলের চর এলাকায় অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। গোয়েন্দাদের ধারণা, মাস্টার নামের ব্যক্তিই হচ্ছে শীর্ষ জঙ্গি সাকিব মাস্টার। হলি আর্টিজান এবং শোলাকিয়া ঈদগাহে হামলার আগে দুটি টিমকে প্রথমে ঝিনাইদহ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ এবং সর্বশেষ প্রশিক্ষণের জন্য বগুড়ায় পাঠানোর বিষয়টি সমন্বয় করেছিলেন তামিম চৌধুরী।  দিকে তাহমিদের বরাত দিয়ে সূত্র বলছে, জঙ্গিরা হলি আর্টিজান নিজেদের জিম্মায় নেওয়ার পর অস্ত্রের মুখে তাদের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে বাধ্য করেছিল। ওই মুহূর্তে তাদের জঙ্গিদের কথার বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। তদন্তসংশ্লিষ্টরা তাহমিদের কথার সত্যতা খুঁজে পেয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দি থেকে। ৩১ জন প্রত্যক্ষদর্শীর মধ্যে একজন ভারতীয়, দুজন শ্রীলঙ্কান একজন ইতালীয় নাগরিক। তবে জিম্মিদশা থেকে উদ্ধারের পর জাপানের নাগরিক চলে যাওয়ার কারণে তার সঙ্গে কথা বলতে পারেননি তারা। সূত্র বলছে, সন্দেহভাজন হিসেবে ৫৪ ধারায় গ্রেফতারকৃত প্রকৌশলী হাসনাত রেজা করিম এবং তাহমিদের প্রকাশিত ছবি, ভিডিওচিত্র, হাসনাতের মোবাইল ফোনসেট থেকে উইকার নামক অ্যাপসের মাধ্যমে হত্যাযজ্ঞের ছবি ও ভিডিওচিত্র জঙ্গি সংগঠন আইএসের মুখপত্র আমাক নিউজ এজেন্সির কাছে পাঠানোর বিষয়গুলোর দিকেই বিশেষ নজর তদন্তসংশ্লিষ্টদের।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর