শিরোনাম
সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
ব্রেক্সিটের প্রভাব

ব্রিটিশ অর্থনীতি নিয়ে উৎকণ্ঠায় তেরেসা মে

প্রতিদিন ডেস্ক

বিশ্লেষকরা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন ব্রিটেন যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয় তাহলে দেশটিই অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়বে। আর ব্রেক্সিট নিয়ে গণভোটের      মাস দুয়েক পর তার বাস্তবতা স্বীকার করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। তিনি বললেন, ব্রিটিশ অর্থনীতিতে কঠিন সময় আসছে। আর তার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। ব্রেক্সিট পরবর্তী ক্ষমতার পালাবদলে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। এরপর গত সপ্তাহে প্রথম মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক করেন। এরপর তিনি গণমাধ্যমে প্রথম সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। বিবিসিকে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে মে বলেছেন, ব্রিটেনের জন্য ব্রেক্সিট ছেড়ে যাওয়া খুব মসৃণ হবে না। তিনি এও জানান, ব্রেক্সিট নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা ২০১৭ সালের আগে শুরু হবে না। তবে এ প্রক্রিয়াকে এমনভাবে উপস্থাপনা করা হবে না যাতে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ সময় তিনি আগাম নির্বাচনের কথাও উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, এখন ব্রিটেনের সবচেয়ে বেশি দরকার হলো স্থিতিশীলতা। চীনে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে তিনি ওই সাক্ষাৎকার দেন। গত জুনে  ব্রেক্সিট গণভোটের ফলে ২৮ জাতির সংগঠন ইউরোপীয় ইউনিয়ন অর্থ বাজারে একটি হতাশাজনক বার্তা দেয়। তাহলো ব্রিটেন ব্রেক্সিট নিয়ে বাণিজ্যিক সবচেয়ে বড় অংশীদার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে আরেকটি মন্দা দেখা দিতে পারে। এতে বিশ্ব অর্থবাজারে নতুন ঘাতের সৃষ্টি হবে। তবে ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের অর্থনীতি যতটা খারাপ হবে ভাবা হয়েছিল তা হয়নি। বরং তার চেয়ে অগ্রগতি হয়েছে। তা সত্ত্বেও তেরেসা মে মনে করেন ব্রেক্সিট তার দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করবে। চলতি বছরের বাকি চার মাস অর্থনৈতিক পরিকল্পনা কি হবে তা নিয়ে এখন থেকে তথ্য সংগ্রহ করবেন। নজরদারি করবেন। এরপর সিদ্ধান্ত নেবেন। এদিকে চীনের সুন্দর শহর হ্যাঙ্গঝুতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পথে তিনি বলেছেন, সামনের দিনগুলো কঠিন হবে। আর এ জন্য ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর মার্ক গারনি। মার্ক গারনি গত মাসে অর্থনৈতিক গতিপ্রকৃতি বিষয়ক একটি নজরদারি প্রকল্প চালু করেছেন। তার ওপর ভিত্তি করে বছরের বাকি সময়ের জন্য অর্থনীতির একটি নির্দেশনা দেওয়া হবে। চীনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে তেরেসা মে’র। সেখানে ওবামা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেনের বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের ওপর যাতে ক্ষতিকর প্রভাব না পড়ে এ জন্য দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেছেন, তা নিশ্চিত করতে আমরা যতটুকু পারি তার সবটুকুই করব। ব্রিটেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এখন অর্থনৈতিকসহ সব সম্পর্ক শক্তিশালী। ভবিষ্যতে তা আরও শক্তিশালী হতে পারে। তবে তিনি এর আগে বলেছিলেন, ইউরোপের জন্য ব্রেক্সিটের অর্থ কী দাঁড়ায় তা বুঝে কাজ করা হবে গুরুত্বপূর্ণ। এএফপি

সর্বশেষ খবর