সিলেটে স্থাপিত হচ্ছে দেশের প্রথম ইলেকট্রনিক্স সিটি। দেশের চাহিদা মিটিয়ে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী বিদেশে রপ্তানি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে গড়ে তোলা হচ্ছে এই সিটি। বর্তমানে প্রকল্পের মাটি ভরাট কাজ চলছে। প্রায় ৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা ইলেকট্রনিক্স সিটির উদ্বোধন হলে এখানে ৬০ হাজারের বেশি লোকের কর্মসংস্থান হবে। তৈরি হবে দক্ষ জনশক্তি। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সিলেটে শিল্পায়নের নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১৬৭ একর জায়গাজুড়ে ইলেকট্রনিক্স সিটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। গত ২১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মেগা প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ইলেকট্রনিক্স সিটি প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যে আরও ৬০০ একর জায়গা বরাদ্দের আবেদন জানানো হয়েছে। জমি বরাদ্দ পেলে মেগা সিটিতে রূপান্তর হবে দেশের প্রথম এ ইলেকট্রনিক্স সিটি। এতে বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি স্থানীয়দেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে মন্তব্য করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান। সিলেট ইলেকট্রনিক্স সিটিতে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী তৈরি ছাড়াও নির্মাণ করা হবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আইসিটি পার্ক ও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স প্লান্ট। এতে একদিকে যেমন বিপুল পরিমাণ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, অন্যদিকে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি ও তথ্য প্রযুক্তির প্রসার ঘটবে বলে মনে করেন সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি সালাহ উদ্দিন আলী আহমদ। তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক্স সিটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে এখানে শুধু পণ্য উৎপাদন নয়, এর মাধ্যমে দক্ষ জনবলও তৈরি হবে। ইলেকট্রনিক্স সিটি বাস্তবায়িত হলে সিলেটের উদ্যোক্তা ছাড়াও প্রবাসীরা শিল্পায়নে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠবেন। ইলেকট্রনিক্স সিটি ঘিরে আরও নতুন নতুন শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে। জানা গেছে, ২০১৩ সালের জুলাইয়ে প্রকল্প শুরুর পর ২০১৬ সালের জুলাইয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল প্রকল্পের কাজ। দেরিতে কাজ শুরু হওয়ায় এখন কেবলমাত্র মাটি ভরাট চলছে। তবে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও ইলেকট্রনিক্স সিটি নির্মাণে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক্স সিটিতে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী তৈরির পাশাপাশি নানা ধরনের সফটওয়্যার তৈরি হবে। এখানে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিও তৈরি করা হবে। ইলেকট্রনিক্স সিটির জন্য প্রাথমিকভাবে ১৬৭ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এখন আরও ৬০০ একর জায়গার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ জায়গা পাওয়া গেলে ইলেকট্রনিক্স সিটিটি দেশের অন্যতম একটি মেগা সিটিতে পরিণত হবে।
শিরোনাম
- ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
- বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে নারীরা সুরক্ষিত থাকে: শামা ওবায়েদ
- নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
- 'তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে প্রতিটি পরিবারের হাতে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে'
- মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
- বাগেরহাটে কবি হিমেল বরকতের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- ঢাকায় ভূমিকম্পে নিহত বগুড়ার রাফিউলের দাফন সম্পন্ন
- ‘নির্বাচনকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে’
- বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা
- বিক্রি হয়ে গেল দ্য টেলিগ্রাফ
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- মিরসরাইয়ে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ৩১ গরু আটক
- শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
- ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
- বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২ সমঝোতা স্মারক সই
- পুলিশের ৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বদলি
- আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
- সিরাজগঞ্জে ডিবি হেফাজতে সন্দেহভাজন আসামির মৃত্যু
- ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সরকার
দেশের প্রথম ইলেকট্রনিক্স সিটি হচ্ছে সিলেটে
শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর