শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

নির্বাচন ভবন উদ্বোধন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন ভবন উদ্বোধন আজ

এবার নিজস্ব ভবন পাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের পাশে নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ এর নবনির্মিত ‘নির্বাচন ভবন’ শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ইসি জানিয়েছে, আজ ভবনের উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। জানা গেছে, নতুন ভবনটি দুটি অংশে বিভক্ত। ভবনের পূর্ব অংশে কমিশন অফিস এবং পশ্চিম অংশে সচিবালয়। এ দুই অংশের মাঝখানে থাকছে সুদৃশ্য ফোয়ারা। আধুনিক রেফারেন্স লাইব্রেরি, মিডিয়া সেন্টার, কনফারেন্স রুম, প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, কেন্দ্রীয় সার্ভার স্টেশন ও ন্যাশনাল আইডি উইংও থাকছে এ ভবনে। এ ছাড়া অন্যান্য ফ্লোরে থাকছে নির্বাচন শাখা, পল্লী শাখা, প্রশাসন শাখা, বাজেট শাখা ও আইটি শাখা। সূত্র জানায়, ২০০৭ সালে পশ্চিম আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাশে নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য ২ একর ৩৬ শতাংশ জমি নির্বাচন কমিশনকে বরাদ্দ দেয় গৃহায়ন ও গণপূর্ণ মন্ত্রণালয়। প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ ভবন নির্মাণের কাজ ২০১১ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাজ শুরু হয় ২০১২ সালে। ইলেকশন রিসোর্স সেন্টার (ইআরসি) নামে পরিচিত প্রকল্পে ইসির নিজস্ব ভবনটি দুটি অংশে নির্মিত হয়েছে, যার একটি অংশ ১২ তলাবিশিষ্ট নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবন। এ ভবনটি এরই মধ্যে উদ্বোধন করা হয়েছে। অপরটি ১১ তলাবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনের ‘নির্বাচন ভবন’। সূত্র জানায়, নতুন ভবনে ওঠার জন্য ইসি সচিবালয় প্রস্তুত রয়েছে। উদ্বোধনের পর পর্যায়ক্রমে বর্তমান সচিবালয় থেকে নতুন সচিবালয়ে সব কিছু স্থানান্তর করা হবে। তবে নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট নন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা জানান, ভবন নির্মাণে নানা অনিয়ম হয়েছে। ভবনটি সম্পূর্ণ করপোরেট স্ট্রাকচারে তৈরির কথা থাকলেও তা হয়নি। ভবনের স্ট্রাকচার অনুযায়ী কেন্দ্রীয়ভাবে এসি বাধ্যতামূলক হলেও তা অনুসরণ করা হয়নি। এসি থাকছে বিশেষ বিশেষ কক্ষে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের কক্ষে এসির ব্যবস্থা থাকলেও সচিবালয়ের অন্য কর্মকর্তাদের কক্ষে এসি থাকছে না। নতুন ভবন এলাকায় তেমন গাছপালা না থাকায় সামান্য রোদেই এলাকাটি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ফলে চৈত্র-বৈশাখ মাসে নতুন ভবনে অফিস করা সমস্যা হবে। যদিও প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৮৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। জানা যায়,  সিইসি ড. এ টি এম শামসুল হুদার সময় কমিশন জমি অধিগ্রহণ ও ভবনের নকশা চূড়ান্ত করা হয়। এ কমিশন বিদায়ের আগে ভবন নির্মাণের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করে যায়। বর্তমান সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কমিশনের বিদায়ের আগে ভবনটির উদ্বোধন হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর