সোমবার, ৬ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

শাজনীন হত্যায় শহীদের ফাঁসি বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

শাজনীন হত্যায় শহীদের ফাঁসি বহাল

শাজনীন

গুলশানের নিজ বাড়িতে শাজনীন তাসনিম রহমানকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে শহীদুল ইসলামের (শহীদ) ফাঁসি বহাল রয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) শহীদের করা আবেদন খারিজ হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ গতকাল এই রিভিউ আবেদন খারিজ করে। আইনজীবীরা জানান, রিভিউ ছিল আইনি লড়াইয়ের শেষ ধাপ। এখন সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের অনুলিপি বিচারিক আদালতে যাবে। বিচারিক আদালত আসামির মৃত্যু পরোয়ানা জারি করবে। আদালতে বাদীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী, এ এম আমিনউদ্দিন, এ এস এম আবদুল মবিন ও সরোয়ার আহমেদ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী নিখিল কুমার সাহা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দিলীরুজ্জামান। শাজনীন তাসনিম রহমানের বাবা লতিফুর রহমান। তিনি ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান। ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে গুলশানের নিজ বাড়িতে খুন হন শাজনীন তাসনিম রহমান। ওই ঘটনায় করা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিচার হয় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে। ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর বিচারিক আদালত শাজনীনকে ধর্ষণ ও খুনের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতার দায়ে ছয় আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেয়। তারা হলেন শাজনীনের বাড়ির গৃহভৃত্য শহীদ, বাড়ির সংস্কার কাজের দায়িত্ব পালনকারী ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসান ও তার সহকারী বাদল, বাড়ির গৃহপরিচারিকা দুই বোন এস্তেমা খাতুন (মিনু) ও পারভীন এবং কাঠমিস্ত্রি শনিরাম মণ্ডল। বিচারিক আদালতের রায়ের পর এই মামলার মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য হাইকোর্টে যায়। একই সঙ্গে আসামিরাও আপিল করেন। ২০০৬ সালের ১০ জুলাই হাইকোর্ট শনিরামকে খালাস দেয়। বাকি পাঁচ আসামির ফাঁসির আদেশ বহাল রাখা হয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন চার আসামি হাসান, বাদল, মিনু ও পারভীন। ফাঁসির আদেশ পাওয়া আরেক আসামি শহীদ জেল আপিল করেন। আপিল বিভাগ চার আসামির আপিল মঞ্জুর ও শহীদের জেল আপিল খারিজ করেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) শহীদের করা আবেদনটিও খারিজ করা হলো।   

সর্বশেষ খবর