শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
চার সিনেমা হলে বোমা হামলা

বিচার শেষ হয়নি ১৫ বছরেও

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহে চারটি সিনেমা হলে একযোগে বোমা হামলার ১৫ বছর পূর্ণ হলো আজ। আলোচিত ওই ঘটনায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে চারটি মামলা হলেও এখন পর্যন্ত কোনোটি নিষ্পত্তি হয়নি। ২০০৭ সালের ৭ অক্টোবর মামলার অভিযোগপত্র দিলেও সাক্ষীরা আদালতে হাজির না হওয়ায় ঝুলে আছে বিচারকাজ।

২০০২ সালের ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ শহরের চারটি সিনেমা হলে একযোগে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১৮ জন নিহত ও দুই শতাধিক লোক আহত হন। আহত অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করছেন। বেঁচে আছেন দুঃসহ যন্ত্রণা নিয়ে। মামলার বিশেষ আদালতের বিশেষ পিপি শেখ আবুল হাসেম বলেন, ‘সাক্ষীর অভাবেই বিচারিক কাজে দীর্ঘসূত্রতা’। তিনি জানান, তিনজন আসামির মধ্যে আনোয়ার হোসেন ওরফে ভাগ্নে শহীদ জেলহাজতে থাকলেও বাকি দুজনকে ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ আদালতে আনার সময় প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে একজন পুলিশকে হত্যা করে ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। ওই দুজন হলেন— সালাউদ্দিন ওরফে সালেহীন, জাহেদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান। ময়মনসিংহের সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান জানান, এই মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি। এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের ৭ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ শহরের ছায়াবাণী, অজন্তা, অলকা ও পূরবী সিনেমা হলে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে চারটি হলে বোমা হামলায় নারী ও শিশুসহ নিহত হন ১৮ জন। আহত হন দুই শতাধিক। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে তখন মামলা করা হয় বর্তমান ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, তত্কালীন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবের হোসেন চৌধুরীসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে। পরে সিআইডির তদন্তে জেএমবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মেলে। ২০০৭ সালের ৮ অক্টোবর সিআইডির ময়মনসিংহ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম নিরীহদের বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দেন। এতে অভিযুক্ত করা হয় জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার নারায়ণগঞ্জের সালাউদ্দিন ওরফে সালেহীন, জাহেদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান, আনোয়ার হোসেন ওরফে ভাগ্নে শহীদকে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর